সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে রিলায়েন্স, বড় জয় পেল আমাজন
- FB
- TW
- Linkdin
গত বছর ২৪ হাজার কোটি টাকার অধিকারী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে খুচরো সম্পদ বিক্রি করতে চুক্তি করেছিল ফিউচার গ্রুপ। কিন্তু তাতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আমাজন। প্রথমে সিঙ্গাপুরে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের করে।
সিঙ্গাপুর ট্রাইবুনাল রিলায়েন্সের সঙ্গে ফিউচারগ্রুপকে একক চুক্তি করতে বাধা দিয়েছিল। সিঙ্গাপুর ট্রাইবুনালের রায়েই এদিন বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও তার আগে এই মানলায় স্থগিতাদের দিয়েছিল দিল্লির আদালর।
রিটেল, হোলসেল, লজিস্টিক, ওয়্যারহাউজিং ইউনিট রিলায়েন্সকে বিক্রি করতে চুক্তি করেছিল ফিউচার গ্রুপ। ২০২০ সালে এই চুক্তি হয়। কিন্তু সেই সময়ই সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আমাজন।
পিটিআই সূত্রের খবর সিঙ্গাপুর ইমার্জেন্সি অরবিট্রেটার গত অক্টোবরেই এই মামলায় আমাজনের পক্ষই রায় দিয়েছিল। এদিন সুপ্রিম কোর্টও সেই মামলার প্রসঙ্গ তুলে আনে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নারিম্যান এদিন সেই মালকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেই রায়দান করেন। তিনি সিঙ্গাপুর আদালতের রায়কেই মান্যতাদেন।একক বিচারপচতির বেঞ্চেই মামলা উঠেছিল।
যদিও সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে কার্যকর করার আর্জি নিয়ে আমাজন দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট চুক্তিটি বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপরই আমাজন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
এই আদেশের পরই রিলায়েন্স আর ফিউচার গ্রুমের শেয়ারের দাম কমে যায়। ফিউচার গ্রুপ জানিয়েছে রিলায়েন্সের চুক্তি সম্পন্ন করতে আর তার স্টকহোল্ডার আর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আমাজনের যুক্তি ছিল তারা ভারতে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট সহযোগিতা না করলে তাদের অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে যেত। এই জয়কে বড় জয় হিসেবেই দেখছে আমাজন।
মুকেশ আম্বানি আর জেফ বেজোস দুজনেই খাবরেন অনলাইন খুচরো বাজারে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যার লড়াই শেষপর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। বিগবাজারসব ভারতের বেশ কিছু সুপার মার্কেটের মালিক হল ফিউচার গ্রুপ। এদেরকে সঙ্গে নিয়েই ই-কমার্সে জায়গা জদখল করার চেষ্টা শুরু করেছিল রিলায়েন্স।
যদিও ২০১৯ সাল থেকেই ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আমাজন। ফিউচার কুপন লিমিটেডে ৪৯ শতাংশ শেয়ার আমাজনের। আর রিটেইলে ৯.৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল নির্দিষ্ট তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কাছে কোনও খুচরো সম্পদ বিক্রি করতে পারবে না ফিউচার গ্রুপ।