বাড়িতে রেখে দেওয়া সোনা থেকে পাবেন মোটা টাকা, জেনে নিন উপায়
সোনা মূলত সবাই ব্যাঙ্কের লকারে রাখেন। ঘরে সোনা রাখেন খুব কম মানুষই। তবে বাড়ির মহিলাদের পরার জন্য কিছু সোনা তো ঘরে রাখতেই হয়। প্রয়োজন মত ব্যাঙ্কের লকার থেকে সোনা বেরোয়, আবার ঢুকেও যায় নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু জানেন কি ব্যাঙ্কে টাকা রাখার থেকে সোনা রাখলে বেশি আয় হবে। একথা অনেকেই হয়ত জানেন না যে আপনার সোনা বেশ মোটা টাকা আপনার হাতে তুলে দিতে পারে।
- FB
- TW
- Linkdin
সোনা যে কোনও পরিবারের মূলধন, স্ত্রীধন। পরিবারের বিপদে আপদে তা কাজে আসে। তাই সোনা বিক্রি করা অনেকেই অশুভ বলে মনে করেন, আবার সোনা রেখে দিলে, তা পড়েই থাকে।
কিন্তু এমন সুযোগ এবার গ্রাহকদের সামনে আসছে, যেখানে বাড়িতে রাখা সোনা থেকে আয় হতে পারে মোটা টাকা। এমনই সুযোগ নিয়ে আসছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক।
গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিমের মাধ্যমে সোনা থেকে আয় করা যেতে পারে। বাড়িতে রাখা সোনা যদি এই স্কিমে রাখা যায়, তবে মোটা সুদ আসবে সেই সোনা থেকে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে এই স্কিমে সোনা রাখা কতটা নিরাপদ। আদৌও সোনা আস্ত থাকবে তো। সেক্ষেত্রে ভরসা যোগাচ্ছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। মানিটাইজেশন স্কিমের অফার খুব বেশি দিন খোলা নেই।
এই স্কিমে সোনার গয়না বা গোল্ড কয়েন জমা রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভালো আয় হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছে পিএনবি। তাই সোনা রাখার ও সেখান থেকে আয় করার এটা ভালো ও নিরাপদ রাস্তা।
আগে সোনার গয়না রাখার জন্য মোটা টাকা দিয়ে লকার খুলতে হত, প্রতি বছর সেই লকারের জন্য মোটা অঙ্কের চার্জ দিতে হত। এবার সেই ঝামেলা শেষ।
২০১৫ সালে এই মানিটাইজেশন স্কিম শুরু হয়। এখানে কমপক্ষে ৩০ গ্রাম ৯৯ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা রাখা যাবে। গোল্ড কয়েন বা গোল্ড বার রাখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী দুই রকমেরই ডিপোজিট করা যায়।
শর্ট টার্ম ডিপোজিটে ১-২ বছরের জন্য, ২-৩ বছরের জন্য করা যেতে পারে। অন্যদিকে, লং টার্ম ডিপোজিটের মেয়াদ ১২ থেকে ১৫ বছর অবধি হতে পারে। এছাড়াও আছে মিড টার্ম ডিপোজিট, যার মেয়াদ ৫ থেকে ৭ বছর।
দেশের যে কোনও নাগরিক চাইলেই এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারেন। এর জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা কারোর জন্য নেই। পিএনবি-র যে কোনও ব্রাঞ্চেই মিলতে পারে মানিটাইজেশনের এই স্কিম।
মানিটাইজেশন স্কিম ছাড়াও এই পরিষেবাকে গোল্ড এফডি বলা হয় থাকে। গোল্ড এফডি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে করানো যেতে পারে, সেই বন্দোবস্ত রেখেছে পিএনবি।