- Home
- India News
- কোভ্যাক্সিন পুরোপুরি নিরাপদ , প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
কোভ্যাক্সিন পুরোপুরি নিরাপদ , প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনাভাইরাসের দেশীয় প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন নিয়ে রীতিমত আশাবাদী ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেজিক্যাল রিসার্চ। এই প্রতিষেধক সম্পূর্ব রূরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। আর এই প্রতিষেধক চূড়ান্ত নিরাপদ বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞকার। প্রথম পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলার পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তোড়জোরও শুরু হয়েগেছে বলেও দাবি করেছে আইসিএমআর। বর্তমানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। এই অবস্থায় মহামারির সঙ্গে লড়াই করতে গোটা দেশই প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতের তৈরি করোনাভআইরাস প্রতিষেধকের কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্রায় শেষের দিকে প্রথম দফার ট্রায়াল। আর এই ট্রায়ালে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। দ্বিতীয় দফায় হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল সায়েন্স। গবেষক দলের প্রধান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ই ভেঙ্কট রাও জানিয়েছেন, প্রথম পর্বে ট্রায়াল এখনও অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কতটা মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য যে সব স্বেচ্ছাসেবীরা কোভ্যাক্সিন গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথম পর্বের ট্রায়ালে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি বলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাও জানিয়েছেন।
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই প্রতিষেধক তৈরি করেছে আইসিএমআর। ইতিমধ্যেই দেশের ১২টি চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
আইসিএমআর জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতিষেধকের দুটি ডোস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগে তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্ক্রিনিং করা হয়েছিল।
প্রথম ডোসের ১৪ দিন পরে দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় ডোস। আর বিভিন্ন দিনে স্বেচ্ছাসেবীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
আর সেই নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ স্বেতচ্ছাসেবীদের কোনও রূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়েনি। আইসিএমআরএর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও চূড়ান্ত উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
দেশে এখনও পর্যন্ত সাতটি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ হচ্ছে যারমধ্যে দুটি প্রতিষেধক পরীক্ষার জন্য মানব দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, দীপাবলীর মধ্যেই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে দেশ। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞের কথায় বর্তমানে ভারতি করোনাভাইরাসের এপিক সেন্টার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী দাবি করেছেন মহামারি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গোটা দেশ একত্রিত হয় লড়াই করে করোনা মহামারিকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।