আর নয় 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' - অফিস খুলছে টিসিএস থেকে ইনফোসিস, দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
রবিবারই উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি জানিয়েছিলেন দীর্ঘ ১৮ মাস পর সংস্থার নেতৃবৃন্দ, সোমবার থেকে অফিস আসা শুরু করছেন। তবে আপাতত তাঁরা সপ্তাহে দুদিন করে অফিসে আসবেন, বাকি দিনগুলি বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। তাঁদের সকলেই টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন। এছাড়া অফিসে সবার নিরাপদে এবং সামাজিকভাবে দূরত্ব রেকে বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাপমাত্রা পরীক্ষা, কিউআর কোড স্ক্যান করার মতো কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সুরক্ষা প্রোটোকলও নেওয়া হয়েছে উইপ্রোর অফিসে। এর আগে গত ১৪ জুলাই সংস্থআর ৭৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় রিশাদ প্রেমজি বলেছিলেন যে ভারতে তাদের প্রায় দুই লক্ষ কর্মচারীর ৫৫ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীর টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ তৃতীয় তরঙ্গের তীব্রতার উপর নির্ভর করে, ২০২১ সালের শেষের দিকে বা পরবর্তী বছরের শুরুতে সংস্থার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কর্মীকে অফিসে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সংস্থা। সম্পূর্ণরূপে টিকায়িত কর্মীরাই অফিসে আসবেন। তারা ভারতের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় আইটি সংস্থাগুলির জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
টিসিএস-এর সঙ্গে সঙ্গে প্রাক-মহামারী প্রক্রিয়ায় অবস্থায় ফিরতে চাইছে ইনফোসিসও। তৃতীয় তরঙ্গের হুমকিকে মাথায় রেখেও, ফের অফিসগুলি খোলার পরিকল্পনা করেছে তারা। সংস্থাটি ২.৬ লক্ষ কর্মচারীর নিরাপত্তা ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলেছে, নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের দলের সদস্যদের ইনফোসিস ক্যাম্পাস থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া, কিছু কিছু কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবেও অফিস থেকে কাজ করতে চাইছেন।
আরও এক বড় আইটি পরিষেবা সংস্থা এইচসিএল টেকনোলজিও, টিসিএস-উইপ্রোর পথেই হাঁটতে চলেছে। এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা বা সিএইচআরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতে তাদের মাত্র ৩ শতাংশ কর্মচারী অফিসে আসছেন। প্রায় ৭৪% কর্মচারীদের টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। চলতি ত্রৈমাসিকেই একশো শতাংশ কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়ে য়াবে বলে মনে করছে তারা। তারপকরউই শুরু করে দেওয়া হবে অফিস।
সফটওয়্যার জায়ান্টদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে হাইব্রিড কাজের মডেল গ্রহণ করেছে ভারতীয় বেসরকারি বাণিজ্য সংস্থা এবং অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ন্যাসকমও। তবে তারা জানিয়েছে, অফিসে কঠোর কোভিড প্রোটোকল রাখা হয়েছে। মাত্র ৩০ শতাংশ কর্মীকে অফিসে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কন্টাক্টলেস কাজ, কর্মক্ষেত্রে বায়ুচলাচল বাড়ানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভ্যাকসিনেশনে জোর দেওয়া - সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এরকম বেশ কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টেক-জায়ান্ট অ্যাপেলও চলতি মাস থেকেই হাইব্রিড স্টাইলে কর্মচারীদের জন্য অফিস খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আপাতত কর্মীদের অফিস থেকে তিন দিন কাজ করতে হবে। ২০২১ সালের জুন মাসেই এই মডেলে অফিস খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অ্যাপেলের সিইও টিম কুক।
কিছু দিন আগেই আইটি এবং ডিজিটাল প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম নাগারো ঘোষণা করেছে ১৮ মাস বাড়ি থেকে কাজ করার পর, সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে র তাদের ভারতের গুরগাঁওয়ের অফিসটি ফের খোলা হয়েছে। কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই দিনের ্পেক্ষা করছিলেৈন বলে জানিয়েচিল সংস্থাটি।