সারা দেশের রুপি, অথচ বাংলায় ভারতীয় মুদ্রার নাম টাকা, জানেন কেন এই নামকরণ
গোটা দেশ জুড়ে ভারতীয় মুদ্রাকে একটিই নাম দেওয়া হয়েছে। তা হল রুপি। ভারতের বাইরেও এই নামেই সবাই চেনে ভারতীয় মুদ্রাকে। ভারতীয় মুদ্রা দেশের পরিচয়। কিন্তু গোটা দেশ জুড়ে যে নাম বহুল প্রচলিত, সেখানে অদ্ভুত ভাবে পশ্চিমবঙ্গে একে ডাকা হয় টাকা নামে। কিন্তু কেন এই নামবদল
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতীয় মুদ্রাকে সবাই চেনে রুপি নামে। সেখানে আমাদের বাংলায় তা পরিচিত টাকা হিসেবে। গোটা রাজ্য জুড়ে কেউই রুপি বলে অভিহিত করে না টাকাকে।
আমাদের দেশে সংস্কৃতি থেকে শুরু করে ভাষা, পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এরমধ্যে ভারতীয় মুদ্রাও বিভিন্ন জায়গায় আলাদা নামে পরিচিত।
ভারতবর্ষের ঐক্য ও বৈচিত্র্য সম্পর্কে নানাবিধ জাতীয়তাবাদী ব্যাখ্যা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় সমাজে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। সেই বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবেই রুপির নানা নাম।
কিন্তু কেন আমাদের রাজ্যে রুপিকে টাকা বলা হয় জানেন? এর পিছনে রয়েছে গভীর ইতিহাস। যা অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত।
ভারতীয় নোটের পিছন দিকে হিন্দি ইংরেজি সহ দেশের মোট ১৭টি সরকারি ভাষায় মুদ্রার নাম অঙ্কিত থাকে। যা দেশের গর্ব ও ঐতিহ্যের সাক্ষী। নানা ভাষা, নানা মতের মিলনক্ষেত্র ভারত।
জেনে নিন কেন বাংলায় রুপিকে টাকা বলে। আসলে ‘টাকা’ শব্দটি এসেছে টংকা নামক সংস্কৃত শব্দ থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষের এই বিরাট অঞ্চলের মানুষ টাকা নামেই মুদ্রাকে চিনত। এরপর ভারতবর্ষে বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ হওয়ার পর এই মুদ্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়।
তবে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ওডিশার মতো রাজ্যে এখনও টাকা বা টঙ্কা নামেই প্রচলন রয়েছে ভারতীয় মুদ্রা। আবার বাংলাদেশের মুদ্রাকেও টাকা বলা হয়।
১৩ ধরনের হরফে ১৫ টি ভাষায় (হিন্দি আর ইংরেজির পাশাপাশি) লেখা রয়েছে। তাই, কোনও ভাষায় রুপি, কোনও ভাষায় রূপয়ে, কোনও ভাষায়, রুপিহা, কোনও ভাষায় রূপা, আবার কোনও ভাষায় টাকা বা টকা বা টঙ্কা বলা হয়।