কোভিডে এখনও মৃত্যু থামেনি বাংলার ৫ জেলায়, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও রাজ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বারবার ওঠানামা করছে। এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৫ জেলায়। সেই ৫ জেলার মৃত্যুর লিস্টে রয়েছে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। দ্বিতীয় কলকাতা। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণা ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কলকাতায় এবংপশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলায় ১ করে প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১০, ০১০ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৬৫ জন।
এদিকে চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যের সব জেলার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে দার্জিলিং। দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগণা। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৭৩০ জন । পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ১১,৮৯১ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯২০ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪, ৯২,৮৭৮ জন।
স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর ক্রমশ বাড়তে বাড়েতে সুস্থতার হার ৯৭.৮৮ শতাংশে পৌছে গিয়েও ফের পতন হয়। দ্বিতীয় তরঙ্গে ধ্বংস লীলা লাগে মার্চের পর থেকে। তবে সেই জানুয়ারীর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরোনোর পর, স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে ৯৮.০৩ শতাংশ।
শহরের যেসকল সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্য়াকসিন রয়েছে, সেখানে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে চরম ভোগান্তির শিকার হন গ্রাহক-গ্রহীতারা। কেউ মাঝ রাত থেকে , কেউবা আগের রাত থেকে পরেরদিনের জন্য লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষায়। তবে মুশকিল আসান করলেন এবার ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সোমবার থেকে টোকেন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এবার থেকে আগের দিন বিকেলে ঘন্টা দুয়েক আগে টোকেন দেওয়া হবে। যারা টোকেন নেবেন তাঁরা পরদিন ভ্যাকসিন পাবেন। লাইনে দাঁড়িয়ে আর ফিরে যেতে হবে না।