Coronavirus- ভাইফোঁটার পর রাজ্যে ফের বাড়ল করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ১১
দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু, পুজোর পর থেকে ফের তা বাড়তে শুরু করে। বাড়তে বাড়তে তা হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তবে কালীপুজোর পর রাজ্যে দৈনিক করোনার গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী ছিল। তবে ভাইফোঁটার পর ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ রাজ্যের মধ্যে সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। তালিকায় তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
| Published : Nov 08 2021, 07:35 AM IST / Updated: Nov 08 2021, 07:43 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
অগাস্ট-অক্টোবরের মাঝে বারবার দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Covid poisitive) কমে গিয়েও ৪০০ থেকে ৮০০-র মধ্যেই ক্রমাগত ওঠা-নামা করছিল। পরে সেই সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে কালীপুজোর পর সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। ভাইফোঁটার পর তা আবার বেড়ে গিয়েছে। ফের ৭০০-র উপরে উঠে গেল দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। শনিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬৭০। কিন্তু, গত ২৪ ঘণ্টায় ফের তা বেড়ে গিয়েছে।
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৩ জন। তার মধ্যে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ফের ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৫ জন। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৮৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আর করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭৪ জন। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ। মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯৬৭।
রাজ্যের নিরিখে একদিনে সবথেকে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কালিম্পংয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ জন। তারপরই রয়েছে পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদ। এই দুই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ ও ৩। এছাড়া উত্তরবঙ্গের (North Bengal) অন্য জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং।
২৪ ঘণ্টায় মালদহে আক্রান্তের সংখ্যা ১১, আলিপুরদুয়ারে ৫, উত্তর দিনাজপুরে ২৩, কোচবিহারে ১৫, জলপাইগুড়িতে ১০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৩ ও দার্জিলিংয়ে আক্রান্ত ১৯ জন।
রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায় (Kolkata)। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৫ জন। তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ১৪৬ জন। তালিকায় তার ঠিক পরেই রয়েছে হুগলি। সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৫৩ জন। এরপর রয়েছে হাওড়া। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। তারপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৩৭ জন।
দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলির মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়গ্রামে। পুরুলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২। মুর্শিদাবাদে ৩ এবং ঝাড়গ্রামে ৪ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬টি জেলার বাসিন্দার। তার মধ্যে দার্জিলিংয়ে ১ জন, জলপাইগুড়িতে ১ জন, হাওড়ায় ১ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন ও কলকাতায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি বাকি জেলাগুলিতে। তবে পুজোর পর থেকেই কলকাতাকে নিয়ে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়ছে। সেই কারণে সংক্রমণের উপর রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। তারই মধ্যে একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭৪ জন।
কলকাতার পাশাপাশি অন্য জেলাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। আর তার জেরেই একাধিক জেলায় কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। মাস্ক না পরলেই করা হচ্ছে গ্রেফতার। তবে সংক্রমণ বাড়ায় ফের উদ্বিগ্ন শহরবাসী।