শুধু কলকাতেই কোভিডে মৃত্যু ৪ হাজারেরও উপরে, পুরসভার কাজে নজরদারিতে কমিটি গড়ল নবান্ন
- FB
- TW
- Linkdin
নারদমামলায় জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও আপাতত গৃহবন্দি ফিরহাদ হাকিম। তবে গৃহ বন্দি থেকেই তিনি সরকারি কাজ-কর্ম করছেন পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। তাই পুরসভার কাজে নজরদারির জন্য কমিটি গড়ল নবান্ন।
নবান্নের এই কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং নগরায়ণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি খলিল আহমেদ। কোভিড পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন কাজ চালাবে এই তিন সদস্যের কমিটি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যাদবপুর, বেহালা, সন্তোষপুর, গড়ফা, পাটুলির বাসিন্দারাই সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কলকাতা পুরসভার ১৬ টি বরোর মধ্য়েই ১০ নম্বর বরোতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৪ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা ৪১ জন। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪,১৪৫। উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় করোনার নতুন ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৮০ জন এবং কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৫,৬৭৭ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ১২৪৮,৬৬৮ জন।
করোনার নতুন ঢেউয়ে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত ৩৮৭৬ জন। চিন্তা বাড়িয়ে সব জেলা সহ কলকাতাকেও পিছনে ফেলে করোনায় প্রথম স্থানে ফের উত্তর ২৪ পরগণা । একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১৮ হাজার ৮৬৩ জন।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গেএই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে ১৩১,৬৮৮ জন।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯,২০২ জন।
বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১০২, ৭৭২ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৬৪ শতাংশ থেকে কমে গেলেও এই মুহূর্তে ৮৬.৯৮ শতাংশ থেকে একদিনে বেড়ে ৮৮.৩২ শতাংশ।