কোভিডে একদিনে ১৫৬ জনের মৃত্যু, কী হবে ঘূর্ণীঝড়ে, সংক্রমণ নিয়ে বাড়ল আশঙ্কা
কোভিডে কার্যত লকডাউনে সংক্রমণ কমল। যদিও কমেনি মৃত্যু। ঘূর্ণীঝড় আছড়ে পড়লে ব্যহত হতে পারে কোভিড চিকিৎসা, এমনই আশঙ্কায় চিকিৎসকেরা। এই প্রথম কলকাতার কোনও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিণত হল। রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে একদিনে মৃত ১৫৬ জন এবং সংক্রমণ ১৮ হাজার ৪২২ জন। এই মুহূর্তে কলকাতা তথা রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে যাবতীয় পরিস্থিতি সহ বুলেটিনের আবডেট থাকল, দেখুন ছবিতে-ছবিতে।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৬ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা ৪৬ জন। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪,১৯১। উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় করোনার নতুন ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৫৬ জন এবং কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৮,৭৩৩ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ১২৬৭,০৯০ জন।
করোনার নতুন ঢেউয়ে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত ৩৭৭১ জন। চিন্তা বাড়িয়ে সব জেলা সহ কলকাতাকেও পিছনে ফেলে করোনায় প্রথম স্থানে ফের উত্তর ২৪ পরগণা । একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১৮ হাজার ৪২২ জন।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গেএই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে ১৩০,৫২৫ জন।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯,৪২৯ জন।
তাই বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১২২, ২০১ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৬৪ শতাংশ থেকে কমে গেলেও এই মুহূর্তে ৮৬.৯৮ শতাংশ থেকে একদিনে বেড়ে ৮৮.৫৭ শতাংশ।
এই প্রথম কলকাতার কোনও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিণত হল। এই মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে মধ্য কলকাতার পার্ক সার্কাসের অভিজাত ডন বসকো স্কুল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যাদবপুর, বেহালা, সন্তোষপুর, গড়ফা, পাটুলির বাসিন্দারাই সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কলকাতা পুরসভার ১৬ টি বরোর মধ্য়েই ১০ নম্বর বরোতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে এল ভেন্টিলেটর দিল্লি থেকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর বিমানে ৭৩৫ কেজি ওজন এর ভেন্টিলেটর ও তার সরঞ্জাম এসে পৌঁছায় গতকাল কলকাতা বিমানবন্দরে এরপর সেই ভেন্টিলেটর গুলো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকের হাতে তুলে দেয়া হয় কোভিড মোকাবিলার জন্য এই ভেন্ডি লিটার গুলো পৌঁছে যাবে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে