
বাংলায় বাবরি মসজিদ? ফুঁসছেন সাধ্বী ঋতম্বরা, বাগেশ্বর বাবা, দেবকিনন্দন ঠাকুর ও মৌলনা ইয়াসুব
Babri Masjid West Bengal : বাংলায় বাবরির ভিত্তিপ্রস্তর ঘিরে তোলপাড়। 'ভারত রামের দেশ', হুঙ্কার সাধ্বী ঋতম্বরার। ক্ষুব্ধ শিয়া নেতা মৌলানা ইয়াসুবও। কী বললেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী? দেখুন বিস্তারিত।
Babri Masjid West Bengal : বাংলায় বাবরি মসজিদ ইস্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া! হুমায়ুন কবীরের তীব্র সমালোচনা। পশ্চিমবঙ্গে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘটনা ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় এই ঘটনা ঘটার পর সাধু সমাজ থেকে শুরু করে মুসলিম সংগঠনের নেতারা, সকলেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সাধ্বী ঋতম্বরা স্পষ্ট ভাষায় জানান, 'এই দেশ শ্রী রামের এবং কেবল তাঁর নামেই পরিচিত হবে। এই দেশে বাবুরিয়া বা বাবরীর কোনো গুরুত্ব বা স্থান নেই।' তাঁর মতে, ভারতে নতুন করে বাবরি মানসিকতার কোনো জায়গা হওয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে, বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী (বাগেশ্বর বাবা) বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিলেও সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, 'মসজিদ তৈরিতে কোনো দোষ বা অপরাধ নেই। কিন্তু রাম ও আমাদের মন্দির নিয়ে কেউ যেন কোনো বিরূপ মন্তব্য না করে।'
শুধু হিন্দু সাধু সমাজই নয়, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুসলিম সমাজও। অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মৌলনা ইয়াসুব আব্বাস বেলডাঙার ঘটনায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং হুমায়ুন কবীরের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
পাশাপাশি, কথাশিল্পী দেবকিনন্দন ঠাকুরও এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বাবরি মানসিকতার বিরোধিতা করতে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের দেশপ্রেম ও আদর্শের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
সব মিলিয়ে, সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়কের এই পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে ধর্মীয় মেরুকরণ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।