কখনই শেষ হবে না কোভিড-১৯ মহামারি, বেঁচে থাকতে হবে এর সঙ্গেই - তৈরি হচ্ছে রোডম্যাপ
করোনাভাইরাসের প্রথম তরঙ্গ বিদায় নিয়েছে, দ্বিতীয় তরঙ্গও যাওয়ার পথে। কিন্তু, এরপর তৃতীয় তরঙ্গও আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়ে গিয়েছে। করোনা মহামারির শেষ হবে কবে? হয়তো কোনওদিনই নয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো মানব সভ্যতায় চিরস্থায়ী রোগ হয়ে থেকে যেতে কোভিড-১৯। এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে উপায়? এই রোগের সঙ্গেই সাধারণভাবে জীবনযাপন করতে হবে মানুষকে। আর তা কী করে করা যায়, সেই রোড ম্যাপই এখন তৈরি করছে সিঙ্গাপুর।
| Published : Jun 29 2021, 07:05 PM IST / Updated: Jul 05 2021, 11:15 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সিঙ্গাপুরে টিকা দেওয়ার গতি তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও, একইভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ভ্রমণ শুরু করা হচ্ছে অত্যন্ত ধীর গতিতে।
সামাজিক জমায়েত, মাস্ক পরা, যোগাযোগ অনুসন্ধান এবং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সেই দেশের প্রচন্ড কড়াকড়ি রয়েছে। তবে এই বিষয়টা বেশিদিন থাকবে না বলেই জানিয়েছে সেই দেশের সরকার।
এই শহর-রাষ্ট্রের বাণিজ্য, অর্থ ও স্বাস্থ্য - এই তিন দফতরের মন্ত্রীরা সেখানকার করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্স পরিচালনা করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মহামারি শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস কেটে গিয়েছে। জনগণ এই যুদ্ধ লড়তে লড়তে ক্লান্ত। তবে এই মহামারি কখনই শেষ নাও হতে পারে।
তাই তাঁরা মহামারি রোগটিকে সঙ্গে নিয়েই কীভাবে যতদূর সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
সিঙ্গাপুরের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৫৭ লক্ষ। ইতিমধ্য়েই এর প্রায় অর্ধেক নাগরিককে ফাইজার-বায়োএনটেক সংস্থার তৈরি এবং মডার্না সংস্থার তৈরি করোনা টিকার অন্তত একটি করে ডোজ দেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গাপুর সরকারের প্রথম লক্ষ্য তাদের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণকে সেই দেশের জাতীয় দিবস, ৯ অগাস্টের মধ্য়েই করোনাভাইরাস টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়া।
এর জন্য তারা ভ্যাকসিন সংগ্রহ প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করেছে। টিকাকরণের সেই মাইলফলক ছোঁয়া হলেই, খুলবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করা বন্ধ করে দেবে সেই দেশের সরকার। তার জায়গায়, তারা নজর দেবে কতজন গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে, সেই দিকে।
একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ না হলে করোনা সংক্রমিতদের বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। এতে করে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উপর চাপ কম পড়বে।
টেস্টিং অর্থাৎ করোনা পরীক্ষাও করা হবে। তবে তা কোনও এলাকার বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টাইন করার জন্য নয়। টেস্টিং-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলি, সামাজিক ক্রিয়াকলাপগুলি এবং বিদেশের ভ্রমণের মতো বিষয়গুলি নিরাপদে পরিচালিত হতে পারে।
বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হলেও, সেই ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। সিঙ্গাপুর জানিয়েছে, যেসব দেশ পরীক্ষা এবং টিকাকরণের মাধ্যমে ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে এবং বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন করার প্রয়োজনীয়তা সরিয়ে নিয়েছে, সেইসব দেশেই যেতে দেওয়া হবে তাদের নাগরিকদের।