Good News করোনার নতুন জিনের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা, সঙ্গে রয়েছে দুঃসংবাদও
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতের দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ১৪ দিনে দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যা ৩ লক্ষ ছাপিয়ে গেছে। ভারতে এই মুহূর্ত প্রায় ২ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনাভাইরাসের নতুন মিউটেশন হবে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ভারতের সীমিত পরিকাঠামোতে তা ট্র্যাক করা খুবই কষ্টসাধ্য বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্করণ বি.১.৬১৭ নামে পরিচিত। হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলে প্রাক্তন প্রফেসর উইলিয়াম হাসেন্টাইন বলেছেন ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার জিনের কিছু কিছু পরিবর্তনলক্ষ্য করা গেছে। ভারতে জিনোম সিকোয়েন্সিংএর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সরকারি নজরজদারি আরও বড়াতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের রূপগুলিকে প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছে টিকা। ইতিমধ্যেই ধনী দেশ ভ্যাকসিন ব্যবহার করে প্রাথমিক সুরক্ষা পেয়েছে। তবে করোনাভাইরাস ইউরোপ ও আমেরিকার মত প্রথম সারির দেশগুলির অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতে রীতিমত আঘাত করেছে। কিন্তু সেই সব দেশের অর্থনীতি পুনরুর্থানের ভাইরাসের নতুন টার্গেট ভারত।
আর সেই কারণেই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একাধিক দেশে নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষিত করেন ভারতের সঙ্গে উড়ান বাতিলের মত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
.
বিজ্ঞানীদের মতে ভারতীয় স্ট্রেইনকে ডবল মিউট্যান্ট বলা হয়। এটি ই৪৫২আর বা এল৪৫২ আর নামে পরিচিত। দুটি স্পাইক প্রোটিনের একটি অংশকে প্রভাবিত করে। যারে রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেনবলা হয়ে। এটি কোষে প্রবেশের মূল চাবিকাঠি।গবেষকরা মনে করছেন এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভেরিয়েন্ট উদ্ভূত হয়েছিল। পূর্ববর্তী ভাইরাসের স্ট্রেইনের থেকে ৭০ শতাংশ দ্রুত সংক্রমণযোগ্য।
ভারতের কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড নতুন এই স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে রীতিমত কার্যকর। জানিয়েছেন সেন্টার ফর সেলুলার ও মোলিকিউলার বায়লোজির প্রধান রাকেশ মিত্র। রাশিয়ার স্পিটনিক ভি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই ভ্যাকসিনটিও করোনার পরিবর্তিত জিনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।
. এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেম টিকা একজন গ্রাহককে ১০০ শতাংশ সংক্রমিত হতে বাধা দেয়। রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে।
যদিও গবেষণাগুলি নতুন করোনা জিনের নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের ক্রমশই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই জিনোমিক নজরদারি আকার পরিবর্তনকারী ভাইরাসটির নতুন ফর্মগুলি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে। যদি তা হয় তাহলে পরবর্তী করোনা ঢেউটে আটকে দেওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভাইরাসটির পরবর্তী প্রজন্ম বিকাশ করাকেও আটকে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।