- Home
- India News
- মাত্র ১০ দিন আলাদা থাকুন, মৃদু বা উপসর্গ বিহীন করোনা রোগীদের সংশোধিত গাইড লাইন কেন্দ্রের
মাত্র ১০ দিন আলাদা থাকুন, মৃদু বা উপসর্গ বিহীন করোনা রোগীদের সংশোধিত গাইড লাইন কেন্দ্রের
উপসর্গ বিহীন ও হালস উপসর্গযুক্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই নির্দেশিকায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন তাঁদের জন্য বিশেষ নিয়ম বিধির কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত নির্দেশিকায় রেমডেসিভির, স্টেরয়েড ট্যাবলেট নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে শ্বাসকষ্ট বা অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই বাড়িতে থাকতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
- FB
- TW
- Linkdin
হালকা উপসর্গ যুক্ত বা উপসর্গ বিহিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থাকতে পারেন। কিন্তু বাড়িতে থাকা অবস্থায় কোনও রোগী যেন রেমডেসিভির ইনজেকশন ব্যবহার না করেন। সেদিকে সতর্ক করা হয়েছে। বারন করা হয়েছে স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেন খেতে। সাত দিন জ্বর থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা ডোসের স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৬০ বছরের বেশি বয়স্করোগীদের যদি উচ্চ রক্তচাপ, জায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের সমস্যা থাকে তবে তা যথাযথ মূল্যায়ন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়িতেই বিচ্ছিন্ন করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শরীরে অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দিলে ও শ্বাসকষ্ট করে দেরি না করে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে নজরদারী দলের সঙ্গেও পরামর্শ করার কথা বলা হয়েছে।
সংশোধিত নির্দেশিকায় আক্রান্তকে দিনে দুবার গরম জন পান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে গারগেল করা বা স্টিম ইনহেলেশন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
কড়া ডোজের ওষুধ খেয়েও জ্বর যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে দিনে ৬৫০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল চারবার খেতে হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। প্রয়োজনে ২৫০ মিলিগ্রামের নেপ্রোক্সেন দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে। ৫-৭ দিনের জন্য দিনে দুবার ৪০০ মিলিগ্রাম ডোজের স্পুার।ুক্ত ইনহেলার নেওয়া যাবে। তারপরেও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৯৪ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তিরই অক্সিজেনের সমস্যা হচ্ছে না। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে আক্রান্তদেব প্রবল অক্সিজেনের সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে। তাই হালকা উপসর্গ যুক্ত ও উপসর্গবিহীনরা বাড়িতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকতে পারেন। বাড়িতে বিচ্ছিন্ন থাকতে গেলে বাড়ির তেমন পরিকাঠামো প্রয়োজন রয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যদেরও গৃহবন্দি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রটোকল অনুযায়ী হাইড্রোক্সিলোরোকুইন প্রফিল্যাক্সিস গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। বাড়িতে থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে নিজেকে পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে আদালা করে রাখেন সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে জানলা দরজা খুলে রেখে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ত্রিস্তরীয় মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে।ব্যবহার করা মাস্কটি ধুরে তারপর তা ফেলে দিতে হবে। আক্রান্তকারী পরিচর্যাকারীকেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এল৯৫ মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সর্বদা পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার ও পানীয় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাড়িতে বিচ্ছিন্নতাকাল শেষ হওয়ার পর আর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নমুনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বিচ্ছিন্নতার মধ্যে থাকা করোনা উপসর্গের সূচনা থেকে কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য আক্রান্তকে বিচ্ছিন্ন থাকতে বলা হয়েছে।