আপনার সন্তান কি করোনায় আক্রান্ত, বুঝবেন কীভাবে, রইল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন
- FB
- TW
- Linkdin
করোনার তৃতীয় ওয়েভে ভয়ঙ্কর রোগের শিকার হতে পারেন শিশুরা। এহেন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া এখনই শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার প্রথম স্ট্রেনে বয়স্ক এবং অসুস্থ লোকেরা বেশি ভুগেছিলেন এবং করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তৃতীয় ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
করোনার প্রকোপ থেকে শিশুকে বাঁচাতে কী করবেন তা নিয়ে মরিয়া বাবা-মায়েরা। বাচ্চাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বেগ বাড়ছে।
বর্তমানে বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হয়নি। এবং বাচ্চাদের জন্য বিশেষ কোনও ওষুধও আবিষ্কার হয়নি। তাই বাচ্চাদের রোগ-প্রতিরোধ বাড়িয়ে তোলাই প্রধান কাজ অভিভাবকদের।
এখনও পর্যন্ত ভারতের ৫.৮ শতাংশ শিশু উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের সন্তানদের নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে।
করোনার প্রকোপ থেকে শিশুকে বাঁচাতে কী সতর্কতা নেবেন, এই বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুর শরীরে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গই জ্বর। শিশু কোভিডে আক্রান্ত হলে ১০২ ডিগ্রি পর্যন্তও জ্বর হতে পারে। তবে ভাইরাল ফিভার ভেবে এটিকে এড়িয়ে যেতে বারন করছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষত কোভিডে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে কাঁপুনি, গা হাত পায়ে ব্যথা, এবং দুর্বলতা থাকছে। ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই উপসর্গের পাশাপাশি হালকা কাশি হলেও সেটাকে গুরুত্ব দিন। পাশাপাশি কাশির সঙ্গে বুক ব্যথা বা গলা ব্যথা থাকলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা চেক করা ভীষণ জরুরি। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে গেলে মাঝারি উপসর্গ বলে ধরা হবে। তবে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নীচে নেমে গেলে সেই শিশুকে গুরুতর অসুস্থ বলে ধরে নিতে হবে।
করোনায় আক্রান্ত শিশুদের ডায়রিয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ, ডায়রিয়া কোভিডের একটি উপসর্গও হতে পারে।
ছাড়াও কোভিডে আক্রান্ত হলে শিশুদের মধ্যে এনার্জির অভাব দেখা যায়। শিশু যদি বারবার ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাহলেও কোভিড টেস্ট মাস্ট।