প্রকাশ হল আইপিএলের চূড়ান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর, জেনে নিন নিয়মাবলী
করোনা আবহে আইপিএল ২০২০-র জন্য চূড়ান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর বা এসওপি ফ্র্যাঞ্চাইজগুলির হাতে তুলে দিল বিসিসিআই। প্রতিযোগিতার আটটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেই প্রস্তুত করা হয়েছে এই এসওপি। স্বাস্থ্য়বিধি সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম রয়েছে এই এসওপিতে। দেখে নেওয়া যাক বিসিসিই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দ্বারা তৈরি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আবহে প্লেয়াার থেকে শুরু সাপোর্ট স্টাফ ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত কারও স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও প্রকার ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিসিআই। তাই প্রত্যেক ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের বিগত পয়লা মার্চ থেকে শারীরিক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে।
একাধিকবার করোনা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুবার করোনা পরীক্ষা করানোর পর সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই আমিরশাহির বিমানে উঠতে পারবেন ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফেরা। রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে ভারতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
১৪ দিন পর করোনা পজেটিভ আসা ব্যক্তির তারপর ফের দুবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আমিরশাহিতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। আমিরশাহি পৌঁছে বিমানবন্দরে প্রত্যেকের ফের একবার করোনা পরীক্ষা হবে। করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন তিনবার করোনা পরীক্ষা হবে ক্রিকেটারদের। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই অনুশীলনের সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে থাকাকালীন প্রত্যেক সপ্তাহের পঞ্চম দিন সকলের করোনা পরীক্ষা হবে। কেউ পজিটিভ হওয়া মাত্রই তাঁকে হোটেলে বরাদ্দ আইসোলেশন রুমে ঢুকে পড়তে হবে।
প্লেয়ারদের স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে প্রত্যকটি দলের জন্য আলাদা আলাদা হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবেই একই হোটেলে একাধিক দলকে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিসিআই।
শুধু তাই নয়,আগে রুম শেয়ার করত প্লেয়াররা। তাতে ঘর কম লাগত। করোনা আবহে এবার তাও বন্ধ করা হয়েছে। হোটেলে প্রত্যেক ক্রিকেটারদের এবং দলের সদস্যদের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা।
খাবারের ক্ষেত্রে রুম সার্ভিস নেওয়া যাবে। তবে তা যাবতীয় নিয়ম মেনেই করতে হবে সকল প্লেয়ারদের। হোটেলের বাকি লোকদের সঙ্গে ক্রিকেট দলটিকে আলাদা রাখতে হবে। যাতে কোনওভাবেই হোটেলের অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের দেখা সাক্ষাৎ না হয়। সবার সঙ্গে জিম সুইমিংপুলও ব্যবহার করতে পারবেন না প্লেয়াররা।
প্রত্যেক হোটেলে আলাদা আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন কেউ করোনা আক্রান্ত হলেই তাকে পাঠানো হবে সেই রুমে আইসোলেশন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর ফের তাকে একাধিক করোনা পরীক্ষা দিতে হবে। নেগেটিভ এলেই সেই প্লেয়ার মাঠে ফিরতে পারবে।
প্রত্যেকটা হোটেল এবং মাঠে "বায়ো বাবেল" বলয় তৈরি করা হবে। ক্রিকেটার সহ প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফদের এই সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে নিয়ম ভাঙলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। .
মাঠের বাইরে সবসময় প্লেয়ারদের মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পডে থাকতেই হবে। শুধু তাই নয় সামাজিক দূরত্ব বিধি সকলকে মানতে হবে। এই যাবতীয় নিয়ম ছাড়াও প্রত্যেকটি দল ও আরব আমিরশাহির সরকার যা যা নিয়ম লাগু করবে সেগুলিও সকলকে মানতে হবে।