করোনা আবহে এবারের আইপিএলে থাকবে একাধিক নতুন চ্যালেঞ্জ,মনে করেন সুরেশ রায়না
আইপিএলের ঘোষণা হতেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সমস্ত প্লেয়াররা। মাঠে ফেরা না গেলেও, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ফিটনেস থেকে ব্যাটিং বোলিং সব ট্রেনিংই করছেন ক্রিকেটাররা। ব্যাতিক্রম নন তিনবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। করোনা আবহে আরব দেশে এবারের আইপিএল খুব চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই মনে করছেন রায়না।
- FB
- TW
- Linkdin
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবেশেষে টি২০ বিশ্বকাপ বাতিল হতেই রাস্তা পরিস্কার হয় আইপিএলের। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আরব আমিরশাহিতে বসতে চলেছে আইপিএলের আসর। করোনা আবহে এবারের আইপিএল সম্পূর্ণ অন্যরকম হবে বলে মনে করছেন সুরেশ রায়না। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সকল প্লেয়ারকে আরও শক্তিশালী হতে হবে বলে মনে করেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
এক সাক্ষাৎকারে রায়না বলেছেন, ‘এই আইপিএল নিয়ে খেলোয়াড়রা কীভাবে ভাবছেন, তা দেখতে খুব আকর্ষণীয় হবে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলতে হবে৷ আইসিসি-র প্রচুর প্রোটোকল রয়েছে৷ একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের প্রতি দুই-তিন সপ্তাহ পর পর কোভিড-১৯ পরীক্ষা দিতে হবে৷ ফলে বিষয়টি মোটেই সহজ হবে না সকলের কাছে।
বিসিসিআই-এর তৈরি এসওপি অনুসারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের কমপক্ষে পাঁচবার কোভিড-১৯ টেস্ট দিতে হবে৷ শুধু তাই নয়, তাদের সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে৷ এছাড়াও আইপিএল চলাকালীন প্রতি পাঁচদিন অন্তর এই পরীক্ষা করা হবে। এত কঠিন নিয়মের মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্লেয়ারদের মাঠে পারফর্ম করতে হবে। ফলে ফোকাস নষ্ট হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে বলে মনে করেন রায়না।
সকল প্রকার পরীক্ষা বিষয়ে রায়না জানিয়েছেন, ‘সুতরাং, আমি বলব যে, এই সমস্ত পরীক্ষা দিয়ে আপনি মাঠে কী করতে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে আপনার মাথা পরিষ্কার থাকা দরকার৷ কারণ দিনের শেষে যখন আপনি খেলা হতে এবং উপভোগ করতে হবে৷’
প্লেয়ারদের ফিটনেস যে আইপিএলে প্লেয়ারদের বড় সমস্যা হতে পারে তা মেনে নিয়েছেন রায়না। তিনি বলেন, ‘এই মহামারীতে প্রচুর চ্যালেঞ্জ হয়েছে৷ ফিটনেসই মূল বিষয়। ভাগ্যক্রমে, আমরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দিকে প্রথম দিকে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আইপিএলের আগে এই সমস্ত পরীক্ষা করা হবে৷ মনের দিক থেকে আমরা খুব ভালো থাকব কারণ আমরা সবাই গত পাঁচ মাস ধরে ঘরে বসে আছি৷ মাঠে এর প্রভাব কী পড়ে তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছি৷’