৮৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, বাতিল দেশের সবথেকে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
- FB
- TW
- Linkdin
এবার দেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজন করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই। এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে টুর্নামেন্ট। ফলে রঞ্জি ট্রফি আয়োজনের জন্য বিসিসিআযেু হাতে সময় মাত্র ২ মাস। রঞ্জি ট্রফির জন্য দু'টি পর্যায়ে দু'মাসের দীর্ঘ বায়ো-বাবল তৈরি করা মুশকিল। তাই রঞ্জি ট্রফি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
তবে রঞ্জি ট্রফির বদলে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় করার জন্য অন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। বিসিসিআই প্রতিটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কাছে জানতে চেয়েছিল, রনজি ও বিজয় হাজারের মধ্যে কোনটি আয়োজন করা যেতে পারে!
সবার মতামত নেওয়ার পর বোর্ড এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজয় হাজারে, মহিলাদের সিনিয়র একদিনের টুর্নামেন্ট ও অনুর্ধ্ব-১৯ বিনু মানকড় ট্রফি আয়োজন করা যেতে পারে। তবে এখনও কোনও টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করা হয়নি।
অনুমোদিত রাজ্য সংস্থাগুলিকে লেখা চিঠিতে জয় শাহ জানান, ‘আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয় মহিলা ক্রিকেট আয়োজন করা এবং আপনাদের জানাতে পেরে আমি ভীষণ খুশি যে, বিজয় হাজারে ট্রফির পাশাপাশি মেয়েদের ওয়ান ডে টুর্নামেন্টও আয়োজন করতে চলেছি আমরা। তার পরেই অনুষ্ঠিত হবে বিনু মানকড় অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট।’
সম্ভবত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বিজয় হাজারে ট্রফি শুরু হতে পারে। জানা গিয়েছে, একমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা রনজি ট্রফি আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ছোট ফরম্যাট-এর টুর্নামেন্ট আয়োজনের পক্ষে।
ফলে তাই যদি হয় ৮৭ বছরে এই প্রথমবার বিসিসিআইয়ের প্রধান ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না। করোনা কারণে নির্দিষ্ট সময় শুরু করা যায়নি টুর্নামেন্ট। কিন্তু এখন যা সময় রয়েছে তাতে রঢঞ্জি ট্রফি আয়োজন করা সম্ভবও নয়।
তবে রঞ্জি ট্রফি বাতিল হয়ে যাওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটাররা বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ক্রিকেটারদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথাও ভাবছে বিসিসিআই।
১৯৩৪ সালে প্রথমবার শুরু হয়েছিল রনজি ট্রফি। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবথেকে বেশি ৪১ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই। প্রতিযোগিতা না হওয়ায় হকাশ ঘরোয়া ক্রিকেটাররা। কিন্তু কিছু করারও নেই। ফলে অন্য়ান্য প্রতিযোগিতাগুলির জন্য প্রস্তুতি শুরু করছে রাজ্য দলগুলি।