MS Dhoni Birthday- ধোনির জীবনের এই ৮টি অভ্যেস, মেনে চললে বদলে যাবে আপনার জীবনও
- FB
- TW
- Linkdin
দায়িত্ব নেওয়া-
এমএস ধোনি কখনোই কোনো দায়িত্ব থেকে পিছপা হননি। সেটা ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়াই হোক বা তাকে ভারতীয় দলের মেন্টর বানানো। তিনি সবসময় দায়িত্ব নিতে পছন্দ করেন। এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে যখন তার দল ভালো পারফর্ম করছিল না এবং রবীন্দ্র জাদেজা সিএসকে-এর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন, তখন তিনি আবার দলের অধিনায়কত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন।
হাল ছেড়ে না দেওয়া-
মহেন্দ্র সিং ধোনির সবচেয়ে বড় গুণ হল তিনি কখনও হাল ছাড়েন না। ম্যাচটি তার হাতের বাইরে চলে গেলেও, কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং দেখা যায় তিনি অনেক সময় হারা ম্য়াচ হাল না ছেড়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দিয়েছেন। এটা তার নেভার গিভ আপ মনোভাব যা থেকে আমাদের শেখা উচিত।
ভালো স্বামী ও বাবা হওয়া-
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ধোনি তার পরিবারের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাটান। রাঁচিতে তার খামার বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায় তাকে। ক্রিকেট খেলাকালীনও সুযোগ পেলেই পরিবারকে সময় দিতেন ধোনি। ধোনি একজন পারফেক্ট ফ্যামিলি ম্য়ান।
সরলতা-
মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রথম জীবন সংগ্রামে পূর্ণ ছিল। ভারতীয় দলে জায়গা করার আগে তাকে রেলে টিটি-র কাজ করতে হয়েছিল। কিন্তু যখন খ্যাতি পেলেন তখনও তিনি সেই জোয়ারে ভেসে যাননি। আজও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করেন। এর বৈশিষ্ট্য সম্প্রতি দেখা গেছে যখন ধোনি তার হাঁটুর চিকিৎসা করতে রাঁচিতে একজন বৈদ্যর কাছে গিয়েছিলেন।
সর্বদা হৃদয়ের কথা শোনা-
একটি সাক্ষাত্কারে ধোনি বলেছিলেন যে তিনি সর্বদা তাঁর হৃদয়ের কথা শোনেন। যখন তার বাবা তাকে চাকরি করতে বলেন, তিনি তার হৃদয়ের কথা শুনেন এবং ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন। তিনি রেলওয়েতে চাকরিও পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি একজন ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করেননি এবং অবশেষে তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হয়েছিলেন।
চাপ না নেওয়া-
আমরা এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি যখন মহেন্দ্র সিং ধোনির পুরো দল চাপের মধ্যে থাকে এবং ধোনি একেবারে শান্ত থাকেন। সে খুব ভালোভাবে চাপ সামলাতে জানে এবং চাপের মধ্যেও ভালো পারফর্ম করতে জানে। এজন্য তাকে ক্যাপ্টেন কুল বলা হয়। চাপের মুহূর্তে তিনি ভারতীয় দলকে বা আইপিএলে চেন্নাইকে এমন অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন যা অন্য কারও পক্ষে সম্ভব হত না।
সকলকে সম্মান করা-
এত বড় ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও ধোনি প্রত্যেক একক ব্যক্তিকে সম্মান করেন এবং সবার সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলেন। এটি একটি মিডিয়া ইন্টারভিউ হোক বা একজন উঠতি ক্রিকেটার, ধোনি কখনই নিজেকে সেলিব্রেটি ভাবেন না এবং সর্বদা সবার সাথে ভালভাবে কথা বলেন।
ব্যর্থতা থেকে শেখা-
একটি সাক্ষাত্কারের সময় এমএস ধোনি বলেছিলেন যে তিনি যখন ম্যাচ হারেন তখন তিনি হারার জন্য দুঃখবোধ করেন না, তবে খুশি হন যে তিনি কিছু শিখছেন এবং পরের বার তিনি সেই শূন্যতা পূরণ করবেন এবং মাঠে ফিরে আসবেন এই পরিকল্পনা করেন।