Kapil Dev Birthday: কপিল দেবের জীবনের ১২টি অজানা তথ্য, এক ঝলকে জেনে নিন আপনিও
ভারতীয় ক্রিকেটে যুগ পরিবর্তন হয়েছিল কপিল দেবের (Kapil Dev) হাত ধরে। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ (1983 World Cup) জয় শুধু নিছক একটা প্রতিযোগিতা জয় নয়, ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket) পটপরিবর্তন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেটকে (World Cricket) শাসনের ভিত রচনা হয়েছিল কপিল দেবের হাত ধরে। ৬ জানুয়ারি প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়ক (Former Indian Captain) কপিল দেবের ৬৩ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে ক্রিকট থেকে ব্যক্তিগত, জেনে নিন কপিল দেবের জীবনের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ( 12 unknown fact)।
- FB
- TW
- Linkdin
১. কপিল দেবের জন্ম ৬ই জানুয়ারী ১৯৫৯ সালে চণ্ডীগড়, পাঞ্জাবে। বাবা রামলাল নিখঞ্জ, মা রাজ কুমারী। ভারত ভাগের সময় তার বাবা-মা রাওয়ালপিন্ডি, পাঞ্জাব থেকে চলে এসেছিলেন। কপিল দেবের বাবার বাড়ি নির্মাণ ও কাঠের ব্যবসা ছিল।
২. তিনি ডি.এ.ভি স্বুলের ছাত্র ছিলেন। ১৯৭১ সালে দেশপ্রেম আজাদের হাত ধরে ক্রিকেটে হাতে খড়ি হয় কপিলের। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে হরিয়ানার হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় কপিল দেবের। অভিষেকেই ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পাঞ্জাবকে ৬৩ রানে আউট করেছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম মরসুমে ৩০ ম্য়াচে ১২১ নিয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন কপিল। ১৭ বছর ধরে হরিয়ানার হয়ে খেলেছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দলের স্থায়ী সদস্য ছিলেন।
৩. কপিল দেব ১৬ অক্টোবর, ১৯৭৮ সালে ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। তার কেরিয়ারের প্রথম ম্যাচ ড্র হয়েছিল, কপিল একটি উইকেট পেয়েছিলেন। তার প্রথম শিকার ছিল সাদিক মহম্মদ। তবে কপিলের গতি ও বাউন্স চমকে দিয়েছিল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। ম্য়াচে একাধিকবার পাক ব্যাটসম্যানদের হেলমেটে আঘাত করেছিলেন কপিল।
৪. নিজের কেরিয়ারের ১৮৪টি টেস্ট ইনিংসে কখনও রান আউট হননি কপিল দেব। সেই সময় কপিল দেব সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছিলেন যিনি অলরাউন্জার হিসেবে সবথেকে দ্রুত ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন ও ব্য়াট হাতে হাজার রান করেছিলেন।
৫. ১৯৯৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে কপিল দেব হারশান তিলকরত্নের উইকেট নিয়ে তৎকালীন হেডলির সর্বোত্ত ৪৩১ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ভেঙেছিলেন। ৪৩৪ উইকেট নিয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ২০০০ সালে কপিলের রেকর্ড টপকে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ।
৬. একদিনের ক্রিকেটেও দীর্ঘ বছর সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন কপিল দেব। ১৯৯৮ সালে জোয়াল গার্নারকে টপকে গিয়ে ওডিআইতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। পাকিস্তানের ওয়াসিম আক্রম সেই রেকর্ড না ভাঙা পর্যন্ত ২৫৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন কপিল।
৭. ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম বিশ্ব জয়ে অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্স করেছিলেন কপিল। ৮ ম্যাচে ব্য়াট হাতে করেছিলেন ৩০৩ রান, বল হাতে নিয়েছিলেন ১২ টি উইকেট, ধরেছিলেন ৭টি ক্যাচ। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কপিল দেবের ১৭৫ রানের ইনিংস ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। ফাইনালে কার্যক অপরাজেয় ওয়েস্টইন্ডিজকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল কপিলের টিম ইন্ডিয়া।
৮. ১৬ বছরের ব্যবধানে ১৩১টি টেস্ট খেলা কপিল দেব কখনও চোট বা ফিটনেসের কারণে একটি টেস্ট মিস করেননি। অবসরের পর ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সালে ভারতীয় টেরিটোরিয়াল আর্মিতে সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে যোগদান করেন। ২০০২ সালে সুনীল গাভাস্কার এবং সচিন তেন্ডুলকারকে পিছনে ফেলে কপিল দেব ভারতের শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ভোট পেয়েছিলেন।
৯. ১৯৯৪ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর পেশাদার গল্ফ খেলাতে যোগ দিয়েছিলেন কপিল দেব। ২০০০ সালে লরিয়াস ফাউন্ডেশনের একমাত্র এশিয়ান প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন কপিল। ইয়ান বোথাম এবং ভিভ রিচার্ডস পরিষদে অন্য দুই ক্রিকেটার ছিলেন।
১০. ১৯৯৯ সালে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ নিযুক্ত হয়েছিলেন কপিল দেব। অংশুমান গায়কওয়াড়ের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। অক্টোবর ১৯৯৯ থেকে আগস্ট ২০০০ ১০ মাসের জন্য ভারতের কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন। ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কের জেরে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন কপিল।
১১. ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম করে রোমি ভাটিয়াকে বিয়ে করেছিলেন কপিল দেব। প্রথমেএক বন্ধু সেখান থেকে রোমির সঙ্গে প্রেম হয়। ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন কপিল দেব ও রোমি। ১৯৯৬ সালে তাদেরএকটি কন্যা সন্তান হয়।
১২. কপিল দেব তিনটি আত্মজীবনীমূলক রচনা লিখেছেন। ১৯৮৫ সালে 'গডস ডিক্রি' এবং ১৯৮৭ সালে 'ক্রিকেট মাই স্টাইল' প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ২০০৪ সালে 'স্ট্রেট ফ্রম দ্য হার্ট' শিরোনামে তার সাম্প্রতিকতম আত্মজীবনী প্রকাশ করেছিলেন।