পঞ্জাব কিংস অধিনায়কের স্ত্রী-র রূপ হার মানাবে বলি সুন্দরীদের, দেখুন ছবি
আইপিএল ২০২২-এ সম্পূর্ণ নতুন ভূমিকায় মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কেএল রাহুল ছেড়ে যাওয়ায় পঞ্জাব কিংসের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব রয়েছে তার উপর। পঞ্জাব কিংসের এখনো অধরা আইপিএল ট্রফি দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর নতুন অধিনায়ক। আইপিএল মানেই ক্রিকেটের সঙ্গে আরও অনেক কিছু। প্রিয় তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জানার কৌতুহল কম নয় ক্রিকেট ফ্যানেদের। তাই আজ আপনাদের জানানো মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও তার স্ত্রী আশিতার কাহিনি। আশিতা দেখতেও খুবই সুন্দরী। আর মায়াঙ্ক-আশিতার প্রেম কাহিনি হার মানাবে বলিউজ সিনেমাকেও।
- FB
- TW
- Linkdin
অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা ভালোই করেছেন পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ব্য়াট হাতেও এই মরসুমে ভালো কিছু করে দেখানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। ক্রিকেট বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও খুবই রোমান্টিক মায়াঙ্ক। তার স্ত্রীর যত প্রশংসা করা হয় ততই কম। মায়াঙ্কের খেলার দেখার জন্য স্টেডিয়ামেও উপস্থিত থাকেন তিন। এই মরসুমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রথম ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে আশিতা তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ম্যাচ চলাকালীন তার ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে তাকে স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্য়চ উপভোগের পাশাপাশি পোজ দিতেও দেখা গিয়েছিল এবং নীল রঙের জিন্স ও একটি সাদা টপ পরেছিলেন। যেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই খুব পছন্দ করেছিলেন। অন্য ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের সঙ্গেও ছবি তোলেন তিনি।
প্রথম ম্য়াচ জয় দিয়ে শুরু করতে পারায় খুব খুশি ছিলেন পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। স্বামীর সাফল্যে খুবই খুশি হয়েছিলেন আশিতা। ম্যাচের পর একসঙ্গে জয় উপভোগও করনে তারকা জুটি। এবার আইপএলে মায়াঙ্ক যেন পঞ্জাব কিংসকে প্রথম ট্রফি এনে দিতে পারেন সেই শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন আশিতা।
আশিতা সুদের সঙ্গে মায়াঙ্কের প্রেমের গল্প হার মানাবে বড় পর্দাকেও। আশিতার বাবা পারভীন সুদ বেঙ্গালুরুতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত। তিনি নিজে একজন আইনজীবী। বেঙ্গালুরু থেকেই আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অশিতা দেখতেও খুব সুন্দর।
আসিদা ও মায়াঙ্ক প্রথমে খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। দুজন দীর্ঘ বছর ধরে প্রেম করে। জানা গিয়েছে মায়াঙ্ক ও আশিতার প্রেমের গল্প খুবই রোমান্টিক। দীপাবলির সময় পারিবারিক অনুষ্ঠানে দুজনেরই প্রথম দেখা হয়। এখানেই দুজনের বন্ধুত্ব হয় এবং ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়। বিয়ের আগে দুজন দুজনকে ৭ বছর ডেট করেছিলেন।
মায়াঙ্ক যেইভাবে আশিতাকে প্রোপজ করেন তা হার মানাবে বলিউডের সিনেমাকেও। মায়াঙ্ক ২০১৮ সালে আশিতাকে লন্ডনের টেমস নদীর ধারে যে বিশালাকার নাগরদোলা 'মিলেনিয়াম হুইল' বা 'লন্ডন আই' রয়েছে তার উপরে হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ করেছিলেন। লন্ডনের টেমস নদীর ধারে ১৩৫ ফুট উঁচুতে প্রপোজাল পেয়ে হ্যা না বলে থাকতে পারেননি আশিকা। মায়াঙ্কের রোমান্টিকতা মুগ্ধ করেছিল তাকে।
২০১৮ সালের ৪ জুন মায়াঙ্ক ও আশিতা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নিজের শহরে বিয়ে করেন তিনি। খুব একটা জাঁকজমক না করলেও, বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটার। ক্রিকেটের বাইরে মায়াঙ্ক আগরওয়াল নিজের ব্যক্তিগত জীবনে খুবই রোমান্টিক। স্ত্রী-র সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেলেও সেটাকে কোয়ালিটি টাইম বানিয়ে তোলেন তিনি।
সুযোগ পেলেই স্ত্রিকে নিয়ে নান জায়গায় ঘুরতে যান মায়াঙ্ক ও তার স্ত্রী। সেই সকল সুন্দর মুহূর্তের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় মায়াঙ্ক আগরওয়াল। সময় পেলেই নিজের ও স্ত্রী-র সঙ্গে ছবি আপলোড করেন তিনি। সেই সকল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। বর্তমানে ক্রিকেট ও পরিবার নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন মায়াঙ্ক।