আবুধাবিতে বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছে কেকেআর, ভিতরের রূপ দেখলে অবাক হবেন আপনিও
আইপিএল খেলতে আবুধাবি পৌছে গিয়েছে কলকাতা তথা বাংলার প্রাণের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বর্তমমানে হোটেলে বন্দি রয়েছেন নাইট তরারকারা। তবে যে হোটেলে রয়েছেন নাইটরা সেখানকার অন্দর মহলের ছবি তুলে ধরেন কেকেআর প্লেয়াররা। বিলাস বহুল হোটেলর অন্দরসজ্জা দেখলে অবাক হয়ে যাববেন আপনিও। হোটেল বন্দি হলেও, হোটেলের অন্দরেই কোনও কিছুর অভাব নেই কার্তিক, রাসেল, নারিনদের জন্য। চলুন ছবিতে ঘুরে আসা যাক নাইটদের হোটেলের অন্দর মহল।
| Published : Aug 24 2020, 05:03 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২০১৪ সালে আরব আমিরাশাহিতে আইপিএলের প্রথম পর্ব হয়েছিল দেশে লোকসভা নির্বাচনের জন্য। ২০১৪ সালে যেই হোটেলে ছিল নাইট রাইডার্স সেই হোটেলেই এবারও উঠেছে নাইটরা। টিম হোটেলেই লাগানো রয়েছে স্মরণীকা। এর আগেও ২০১৪ সালে আইপিএলের জন্য নাইটদের পা পড়েছিল আবু ধাবিতে, সেকথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বিলবোর্ডে।
টিম হোটেলের যে ছবি নাইটদের পক্ষ থেকে শেয়ার করা হয়েছে তাতে অবসর সময় কাটানোর জন্য কোনও কিছুর অভাব নেই। সব ধরনের ইন্োর গেমস রয়েছে সেখানে। বিলিয়ার্ডস বোর্ড, টেবিল টেনিস, ইন্ডোর সকার সবকিছুই রয়েছে।
এবারের আইপিএল অন্যান্য সব বারের থেকে যে আলাদা তা বারবার বলেছেন সকলে। করোনা আবহে খেলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তবে আবু ধাবির বিলাসবহুল যে হোটেলে কেকেআর তারকাদের থাকার বন্দোবস্ত হয়েছে সেই হোটেলের ব্যবস্থাপনা কিন্তু ক্রিকেটারদের যাবতীয় চিন্তা দূর করে দিতে একেবারে প্রস্তুত।
হোটেলের অন্দর মহলের যে ছবি কেকেআরের প্লেয়াররা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তা দেখে বোঝার উপায় নেই তারা দেশের বাইরে রয়েছেন। বরং, ঝকঝকে চেহারায় নাইটদের জন্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে টিম রুম, যাতে দলগত ঐক্য অনুভূত হয় হোটেলের আবহেই।
হোটেলের রুম থেকে হোটেলের বাইরের দৃশ্য যে অতটাই মনোরম তা চোখে না দেখলে বুঝতে পারতেন না নাইট তারকারা। তাই চায়ের কাপ হাতে সেই ছবি শেয়ার করতে কুন্ঠাবোধ করেননি প্লেয়াররা।
এমন মনোরম হোটেল, যেমন বাইরের রূপ তেমন ভিতরের। তাই সেলফি হবে না এমন পরিবেশে তা আবার হয় নাকি। নাইট তারকা নীতিশ রানা নিজের সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বোঝাতে যে কোন রাজকীয় পরিবেশে রয়েছেন তারা।
হোটেলের ব্যালকনি থেকে ছবি শেয়ার করেছেন নাইটদের বোলিং অ্যাটাকের অন্যতম অস্ত্র কুলদীপ যাদবও। সেখান থেকেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে কতটা মনোরম পরিবেশে রয়েছে নাইটরা। শুধু গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ।
হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। তা প্লেয়ারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রেও রাখা হচ্ছে সম্পূর্ণ নজর। এখন প্রাথমিক করোনা পরীক্ষাগুলি শেষ করে অনুশীলনে নামাই নাইটদের প্রধান লক্ষ্য।