আজকের দিনেই বিশ্ব ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছিল ভগবানের, এরপর বাকিটুকু রূপকথার কাহিনি
- FB
- TW
- Linkdin
মাত্র ১০ বছর বয়সে দাদা অজিত তেন্ডুলকর ছোট্ট সচিনকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন কোচ রমাকান্ত আচরেকরের কোচিংয়ে। সেখান থেকেই কঠোর পরিশ্রম ও রমাকান্ত আচরেকরের সান্নিধ্যে প্রস্তুত হয়েছিলেন আগামির বিশ্ব তারকা।
১৫ বছর বয়সেই মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতে অভিষেক হয় সচিনের। আর প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে নির্বাচকদের নজরে চলে এসেছিলেন সচিন। তারপর বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে স্কুল ক্রিকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ, অসংখ্য ভালো ইনিংস সচিনের জাতীয় দলের পথটা প্রশস্ত করে।
তারপরই ১৬ বছর বয়য়ে করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় সচিনের। প্রথম ম্য়াচে ১৫ রান করলেও, সিরিজে চারটি টেস্ট ম্যাচে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আগামিতে বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করবেন তিনি।
এরপর ২৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে বাকিটা রূপকথার কাহিনির মত। লম্বা কেরিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করেছেন সচিন। তার মধ্যে টেস্টে শতরানের সংখ্যা ৫১। ওয়ানডে ফরম্যাটে শতরানের সংখ্যা ৪৯। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে তাঁর মোট রান যথাক্রমে ১৫৯২১ ও ১৮৪২৬।
কেরিয়ারে মোট ৬টি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ২০১১ সালে তিনি বিশ্বকাপও জিতেছেন। ২০১০ সালে প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুম্বইকর।
২০১৩ সালে আজকের দিনেই নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচও খেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। মুম্বইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
অবসরের পর একাধিকবার নানা প্রদিশর্নী ম্য়াচে সচিনকে মাঠে দেখা গিয়েছে। একাামাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন ভারত রত্নে। ক্রিকেট বিদায় জানানোর পরও সচিন নামের মাহাত্ম্য যে তার ভক্তদের কাছে এতটুকু কমেনি তার প্রমাণও মিলেছে বারবার। সেই কারণেই তিনি 'ক্রিকেট ঈশ্বর'।
আজকের দিনে সচিনকে সম্মান ও কুর্নিশ জানাতে ভোলোনি বিসিসিআই। সচিনের প্রথম ও শেষ বার ব্যাট করতে নামার ছবি শেয়ার করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নিজের খেলার মাধ্য কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানানো হয় বিসিসিআইয়ের তরফে।