ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা,জানুন এমন ক্রিকেটারদের গল্প
ক্রিকেট কেরিয়ারে দেশের হয়ে নাম উজ্জ্বল করেছেন। আবার সঠিক সময়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। কেউ যোগ দিয়েছেন পুলিসে, কেউ এবার বেছে নিয়েছেন মিউজিক বা অভিনয়। জেনে নিন এমন ক্রিকেটারদের গল্প।
- FB
- TW
- Linkdin
ব্রেট লি
বিশ্ব তথা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা পেস বোলারদের মধ্যে অন্যতম ব্রেট লি। তার আগুনে বোলিংয়ের সামনে একসময় অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যান। টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ মিলিয়ে তার ঝুলিতে রয়েছে মোট ৬৯০টি উইকেট। ক্রিকেটের পাশাপাশি মিউজিক তার খুবই প্রিয়া ছিল। তাই ক্রিকেটকে অবসর জানানোর একজন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হয়ে উঠেছেন লি। এছাড়াও থিয়েটারে মনোনিবেশ করেন তিনি। এমনকি তিনি বলিউডে ইউনিনডিয়ান নামে একটি সিনেমাও করেন। এর পাশাপাশি ক্রিকেটের কমেন্ট্রিও চালিয়ে যাচ্ছেন অসি তারকা।
অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ
বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের নিয়ে আলোচনা হলে সেখানে অবধারিতভাবেই নাম আসবে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তার পেস বোলিং টেক্কা দিত অনেকে পেশাদার পেস বোলারকেও। ২০০৪ সালের অ্যাসেজ সিরিজে তার পারফরমেন্স ক্রিকেটের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে ৭০০০ এর বেশি রান এবং ৪০০টি উইকেট শিকার করেন। খুবই অল্প বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় জানান ফ্লিনটফ। রেসলিংয়ের প্রতি বরাবরই কার সখ ছিল ফ্লিনটফের। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর রেসলিংয়ে যোগ দেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা।
কার্টলি অ্যামব্রোস
বিশ্ব ক্রিকেটে বরাবরই একের পর এক বিশ্বমানের পেস বোলার উপহার দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের মধ্যে অন্যতম কার্টলি অ্যামব্রোস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০-রও বেশি উইকেটের শিকারী দীর্ঘকায় এই পেস বোলার। সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে মিউজিক ব্যান্ড দলে যোগদান করেন। তিনি অ্যান্টিগুয়ান সোকা, রেগি ব্যান্ড, এবং ড্রেড অ্যান্ড দ্যা বাল্ডহেড নামের তিনটি ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। মাঠেও বরাবর মেজাজে থাকতেন তিনি, ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরও খোশ মেজাজেই পাওয়া যায় তাকে।
মাইক বেয়ার্লি
ইংল্যান্ডেক সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম মাইক বেয়ারলি। ব্রিটিশ দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। তিনি ৩১টি টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে ১৭টিতে জয় আসে। অবসর গ্রহণের পরে তিনি ব্রিটিশ সাইকোঅ্যানালিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হন। একই সঙ্গে লেখালেখির দিকে মনোনিবেশ করে একজন লেখক হয়ে উঠেছেন। ক্রিকেট নিয়েও একাধিক বই লিখেছেন তিনি।
যোগিন্দর শর্মা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার কেরিয়ার খুব দীর্ঘ না হলেও, ভারতীয় ক্রিকেটার যোগিন্দর শর্মার নাম দেশবাসী কোনও দিনও ভুলতে পারবেন না। আর ভুলবেনই বা কী করে, ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ফাইনাল ওভার করার দায়িত্বটা যে ধোনি তাকেই দিয়েছিলেন। আর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দলকে জয় এনেদিয়েছিলেন যোগিন্দর শর্মা। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর পুলিসের কাজে যোগ দেন তিনি। করোনা মহামারীর সময়ও ডিউটি করতে দেখা যোগিন্দর শর্মাকে।
অজয় জাদেজা
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম অলরাউন্ডার ছিলেন অজয় জাদেজা। দুরন্ত ফিল্ডারও ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ৬ হাজারের মত রান তার। সুন্দর দেখতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। গড়াপেটা কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর আর ক্রিকেটে ফেরা হয়নি তার। তারপর অভিনয় জগতে নাম লেখান জাদেজা। কয়েকটি বলিউড সিনেমাতে অভিনয় ও মিউজিক অ্যালবামও করেন তিনি। যদিও বলিউডেও তার কেরিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি।