- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- ছেলের বৌ হিসেবে ক্যাটরিনাকে বিষ নজরে দেখতেন নীতু, সেইজন্যই শশী কাপুরের বাড়ির অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যাননি
ছেলের বৌ হিসেবে ক্যাটরিনাকে বিষ নজরে দেখতেন নীতু, সেইজন্যই শশী কাপুরের বাড়ির অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যাননি
- FB
- TW
- Linkdin
অলিয়ার ভাটের আগে রণবীরের সম্পর্ক ছিল ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে। বেশ জমিয়েই প্রেম করছিলেন তাঁরা। প্রেম এতদূর পর্যন্ত গিয়েছিল যে তাঁরা বিয়ের কথাও নাকি ভেবেছিলেন- তেমনই গুঞ্জন বি টাউনে
কিন্তু রণবীর ক্যাটরিনার প্রেমে প্রথম থেকেই নাকি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নীতি সিং। নানা ভাবে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ছেলের সঙ্গে ক্যাটরিনার সম্পর্ক কোনও দিনও ভালভাবে নেবেন না। কিন্তু সামনা সামনি কোনও প্রতিবাদ করেননি।
সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে রণবীর আলিয়ার। ছেলের বউকে নিয়ে শাশুড়ি খুশি। এমনটাই গুঞ্জন বিটাউনে। আলিয়া আর রণবীরও খুশি। তাঁরা নাকি পাঁচ বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন।
আগেই বিয়ে সেরেছেন ক্যাটরিনা। বয়সে কিছুটা ছোট ভিকি কৌশলের সঙ্গেই সংসার করছেন। ক্যাটরিনা মা হতে চলেছেন- এমনই গুঞ্জন বিটাউনে।
নীতু কাপুর নাকি ক্যাটরিনার মুখোমুখি হতে চাইতেন না। আর সেই কারণেই শশী কাপুরের বাড়িতে খ্রিসমাসের ডিনারে পর্যন্ত যাননি। নাতনিকে নিয়ে অন্যত্র সময় কাটিয়েছিলেন তিনি।
সম্পর্কে শশী কাপুর নীতু সিং-এর খুড়শ্বশুর হলেও দুজনের সম্পর্ক ছিল অত্যান্ত মধুর। একাধিক সিনেমাতে শশী কাপুরের নায়িকা ছিলেন নীতু সিং। শোনা যায় পারিবারিক বিবাদেও শশী ও তাঁর স্ত্রী নীতু সিং-এর পাশে দাঁড়াতেন।
এতটা ঘনিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও নীতি সিং শশী কাপুরের বাড়িতে যাননি শুধুমাত্র ক্যাটরিনার জন্য। কারণ রণবীর ক্যাটরিনাকে এনে ছিলেন কাপুরদের ফ্যামিলি ডিনারে। ক্যাটরিনা কাপুরও লন্ডনে নিজের পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে না গিয়ে কাপুরদের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
প্রথম থেকে নীতু ক্যাটরিনা কাইফকে পছন্দ করতে না। তিনি একটি ইন্টারভিউতেও সেই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সরাসরি তিনি কোনও দিনও রণবীরের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেননি। তিনি বলেছিলেন পুরো বিষয়টি তিনি অন্যভাবে ডিল করবেন।
রণবীরকে পরামর্শ
ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রণবীরকে নীতি নাম না করেই একাধিক পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ক্যাটরিমা মেয়ে হিসেবে তাঁর উপযুক্ত নয়। তাই এই সম্পর্কে এখনও সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই। তিনি বলেন ছেলের আচরণে তিনি কখনই বিরক্ত হননি।
নীতু জানিয়েছেন, ছেলের ওপর তাঁর আস্থা ছিল। আর নিজের ওপর বিশ্বাস। ছেলের সঙ্গে তিনি সর্বদা বন্ধুর মত মিশতেন। প্রতিটা ইস্যু নিয়ে কথা বলতেন। বিকল্প পথের সন্ধানও করেছিলেন তাঁরা।