গায়ের হলুদ থেকে মেহেন্দি, রানা ও মিহিকার বিয়ের ঝলক নেটদুনিয়ার হটকেক
রাত পোহালেই বিয়ের পিঁড়িতে 'বাহুবলী' অভিনেতা রানা ডাগ্গুবটি। করোনার প্রকোপ, লকডাউন, কিছুই বাধা আনতে পারল না রানা এবং মিহিকার মিলনে। মে মাসের ২১ তারিখ চুপিসারে বাগদান সেরে চমকে দিয়েছিলেন বাহুবলীর ভল্লালদেব, রানা ডগ্গুবটি। মিহিকা বাজাজের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে দিতে চলেছেন বিয়ের রূপ। এ বছর যা ধীরে সুস্তে হত তাই এখন চটপট সারছেন সেলেব জুটি। চুপিসারে বাগদান সেরে নিয়েছেন লকডাউনের মাঝেই। লকডাউন হোক বা করোনার প্রকোপ, এই সেলেব জুটিকে আটকানো অসম্ভব। আগামী ৮ অগাস্ট নিশ্চিত হয়েছে বিয়ের তারিখ। বিয়ের নানা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত দুই পরিবার। প্রকাশ্যে এল মেহেন্দি এবং গায়ের হলুদের ঝলক।
- FB
- TW
- Linkdin
দক্ষিণী বিয়ে মানেই সাদা রঙটি ম্যানডেটরি। সাদা রঙের কুর্তা এভং লুঙ্গি পরে দেখা গিয়েছে রানাকে। অন্যদিকে কাঁচা হলুদ রঙের সাধারণ লেহেঙ্গায় মিহিকা।
একে অপরকে যেভাবে তাঁরা কমপ্লিমেন্ট করে তা সেলেব জুটিদের মধ্যে তাঁদের অন্যতম করে তুলেছে। প্রতিটি ভাইরাল হওয়া ছবিই যেন রূপকথার মত।
গায়ে হলুদে ফুলের গয়নায় সেজে উঠেছিলেন মিহিকা। সেই গয়নাতেও রয়েছে অভিনবত্ব। কড়ি দিয়ে বানানো হয়েছে দুল, টিকলি, টায়রা এবং বালা।
যা সাধারণত কোনও অভিনেত্রী কিংবা কনেকে পরতে দেখা যায় না। অন্যদিকে মেহেন্দিতে পরেছিলেন গোলাপী রঙের কুর্তা লেহেঙ্গা। কুন্দন এবং মুক্তোকে সাজিয়েছিলেন নিজেকে।
মিহিকা-রানার বিয়ের সাজ যে একেবারে মিনিম্যলিস্টিক তা এখন স্পষ্ট। অতিরিক্ত সাজগোজে দু'জনেরই আপত্তি। রানা-মিহিকার বিয়েতে আসা অথিতি এবং অন্যান্য লোকজন অল্প থাকলেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব সহ সম্পন্ন করতে হবে বিয়ের অনুষ্ঠান।
বিয়েতে আসা অথিতি থেকে শুরু করে প্রত্যেক কর্মীদেরও করতে হবে সঠিক স্যানিটেশন। যার জেরে কোনও অস্বাভাবিক বড় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করছেন না তাঁরা। কেবল দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠতম আত্মীয়-স্বজনরাই উপস্থিত থাকবে এই অনুষ্ঠানে।
চলছে বিয়ের আগের নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। মাত্র ৩০ জন উপস্থিত থাকবে তাঁদের বিয়েতে। পরিবেশের কথা চিন্তা করেই নেওয়া হচ্ছে সমস্ত প্রস্তুতি। প্রত্যেক অথিতি সহ কর্মীদেরও কোভিড পরীক্ষা করানো হবে।
স্যানিটাইজার রাখা থাকবে বিভিন্ন জায়গায়। এই আনন্দের অনুষ্ঠানটি সুরক্ষার সহিত সম্পন্ন করতে চান তাঁরা। রাত পোহালেই বসবে বিয়ের আসর। মাসখানেক আগে রানার বাবা সুরেশ বাবু এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বিয়ের তারিখের বিষয়।
তিনি জানান, দুই পরিবারের সদস্যরাই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সরকার দ্বারা প্রযোজ্য সমস্ত নিয়ম মেনেই হবে বিয়ের কাজ। অতিরিক্ত কোনও অথিতিকেই ডাকা হবে না বিয়েতে। প্রভাসের মত এই দক্ষিণী অভিনেতার ফ্যান ফলোয়িং নেহাতই কম নয়।
রানার বাগদানের খবর খানিক শকের মত পৌঁছেছে সকল মহিলা ভক্তদের কাছে। এবার বিয়ের ডেট শুনে হাহুতাশ করে পাগল তারা। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাতেও ভরিয়ে দিয়েছেন তারা। মিহিকা পেশায় একজন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার।
চেলসি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। কথা ছিল এ বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বরে বিয়ে হবে। তবে আর অপেক্ষা করতে পারলেন না রানা। নিজের সম্পর্কের কথা যেভাবে প্রকাশ্যে এনেছেন, তেমন তড়িঘড়ি এনগেজেমেন্টও সেরেছেন।
তেমনই ঝড়ের গতিতে এবার বিয়ের পিঁড়িতেও বসে পড়বেন অভিনেতা। তিনি জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে বিয়ে নিশ্চিত হয়েছিল ঠিকই তবে তা এগিয়ে আনতে দুজনের মধ্যে কারও কোনও আপত্তি নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।