- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- সুচিত্রা সেনের জন্য গুলজারের হাতে মার খেয়েছিলেন রাখি, আঁধির শ্যুটিং-এ ঘর ভাঙে তারকা দম্পতির
সুচিত্রা সেনের জন্য গুলজারের হাতে মার খেয়েছিলেন রাখি, আঁধির শ্যুটিং-এ ঘর ভাঙে তারকা দম্পতির
- FB
- TW
- Linkdin
কলকাতা থেকে বলিউডে গিয়েছিলেন রাখি। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন। সেই সময়ই একটি পার্টিতে গুলজারের সঙ্গে আলাপ হয় রাখির। জনপ্রিয় নায়িকা তাঁরই প্রেমে পড়ে যান গুলজার। রাখিও ডেট করতে শুরু করেন গুলজারের সঙ্গে।
রাখি ও গুলজার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় জনপ্রিয় নায়িকা রাখি। কিন্তু সব জেনেশুনেও গুলজার তাঁর রাখির ওপর কাজ না করার শর্ত আরোপ করেন। এই একটি মাত্র শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রেম এমনই জিনিস যে কোনও চিন্তাভাবনা না করে গুলজারের শর্ত মেনে নিয়ে বিয়ের পিঁডিঁতে বসেন রাখি।
গুলজারের শর্ততে রাজি হয়ে স্বামী সংসার এসবের জন্য রাখি দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ১৯৭৩ সালের ১৫ মে সম্পুর্ণ সিং কালরার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
রাখি আর গুলজারের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল রীতিমত বর্ণাঢ্য। দুজনের জনপ্রিয় স্টার। অতিথি অভ্যাগতদের তালিকায় ছিলেন অমিতাভ, সায়রা বানু, দিলীপ কুমার, জিতেন্দ্রের মত প্রথম সারির বলি স্টাররা।
বিয়ের পরই ঘর বন্দি রাখিছ স্টারডাম ছেড়ে দিয়ে হতাশ তিনি। কাজে ব্যস্ত গুলজার। কিন্তু রাখি ভেবেছিলেন স্বামী হিসেবে গুলজার তাঁর নিজের প্রজেক্টগুলিকে কাজের সুযোগ দেবেন রাখিকে । কিন্তু গুলজার - যার কবিতা নমর মখমনের অনুভূতি দেয় সেই গুলজার কতখানি কঠোর তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন রাখি। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি।
এরই মধ্যে তাদের কন্যা, মেঘনার জন্ম হয়। মেঘনার জন্মের এক বছর পর, রাখি এবং গুলজার তাদের পথ ছেড়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এটি সব গুলজারের সেই একটি পিতৃতান্ত্রিক প্রিনুপ ক্লজ দিয়ে শুরু হয়েছিল যা তাদের ভালবাসার জগতকে উল্টে দিয়েছিল।
কাজে ফেরেন গুলজার। শুরু করেন বিখ্যাত আঁধি ছবির শ্যুটিং। কিন্তু এই শ্যুটিংএই বিপর্যয় নেমে আসে তাঁদের দাম্পত্যে। কারণ এই শ্যুটিং চলাকালীন বিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘর ত্যাগ করেন রাখি। যদিও তাঁদের অফিসিয়াল ডিভোর্স এখনও হয়নি। এখনও মাঝে মাঝে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়।
পিঙ্কভিলার রিপোর্ট অনুযায়ী কাশ্মীরে চলছিল আঁধি ছবির শ্যুটিং। সুচিত্রা সেন, সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে গুলজার পত্নি হিসেবে নিজের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে রাখিও গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। এক রাতে সুচিত্রা আর সঞ্জীব কুমার পার্টি করছিলেন। সেই পার্টিতেই মদ্যপ হয়ে পড়েন সঞ্জীব কুমার।
মদ্যপ অবস্থায় সঞ্জীব কুমার সুচিত্রা সেনকে রাতে তাঁর ঘর থেকে বার হতে দিতে চাননি। হাত ধরে টানাটানিও করেছিলেন। তেমনই বলছে একটি মিডিয়া রিপোর্ট। সেখানে সেই সময় উপস্থিত হন গুলজার। সুচিত্রাকে প্রায় উদ্ধার করে তাঁর ঘরে পৌঁছে দিতে যান।
সুত্রিচার ঘরে সেই রাতে অনেক্ষণ ছিলেন গুলজার। তিনি যখন বাইরে আসেন তা জানতে পারেন রাখি। রাখি তাতে আপত্তি জানান। গুলজারকে বলেন 'প্রিয় অভিনেত্রীর ঘরে এতরাতে কী করছিলেন গুলজার?' রাখির মুখে এই প্রশ্ন মেনে নিতে পারেননি গুলজার। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সেই রাতেই রাখিতে বেধড়ক মারধর করেন গুলজার। যা কল্পনা করা যায় না। সকালে যখন তাঁর ঘুম ভাঙে তখন রাখি হোটেল ছেড়ে চলে যান।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাখিতে কভি কভি সিনেমাতে সাইন করাতে চাইছিলেন যশ চোপড়া। কিন্তু সেই রাতে রাখি গুলজারের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পরই একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কাকতালীয় হলেও কভি কভির লোকেশেন দেখার জন্য সেই সময় যশ চোপড়াও ছিলেন কাশ্মীরে। রাখি সোজা চলে যান যশ চোপড়ার কাছে। সাইন করেন কভি কভিতে।
এখনও একা থাকেন রাখি। তাঁর সঙ্গে অবশ্য মেয়ে মেঘনা মাঝে মাঝে থাকেন। রাখি আর গুলজারের অফিসিয়াল ডিভোর্স কখনই হয়নি। শোনা যায় মেয়ে মেঘনার জন্যই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে বার্ধক্য অনেক কিছুই বদলে যায়। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই রাখি আর গুলজারকে তাঁদের নাতিনাতনিদের সঙ্গে দেখা যায়।