- Home
- Sports
- Football
- দীর্ঘদিন পর ফ্রি কিক থেকে গোল দেগেছেন রোনাল্ডো,জেনে নিন সি আর সেভেনের কেরিয়ারের সেরা সাতটি ফ্রি কিক সম্পর্কে
দীর্ঘদিন পর ফ্রি কিক থেকে গোল দেগেছেন রোনাল্ডো,জেনে নিন সি আর সেভেনের কেরিয়ারের সেরা সাতটি ফ্রি কিক সম্পর্কে
- FB
- TW
- Linkdin
১. বনাম পোর্টসমাউথ (২০০৮)
২০০৭-০৮ মরশুমে লিগের খেলায় ম্যান ইউ মুখোমুখি হয় পোর্টসমাউথের। ম্যাচের প্রথমার্ধেই বক্সের ২৭ গজ দূরে ফ্রি-কিক পায় রেড ডেভিলসরা। ডান দিক ঘেঁষে ফ্রি-কিক পেলেও রোনাল্ডোই এগিয়ে যান শট নিতে। রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে শট নেন রোনাল্ডো। নাকল্ বল টেকনিকের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ ওই শট। শটে এতই গতি ছিল যে মানবপ্রাচীরে থাকা পোর্টসমাউথের খেলোয়াড়রা ভয়ে লাফাতে পারেননি। বল বাতাসে গোত্তা খেয়ে কামানের গোলার বেগে জালে ঢোকে গোলপোস্টের ডান দিকের টপ কর্নার দিয়ে। সেই সময় প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে অভিজ্ঞ গোলকিপার ডেভিড জেমসের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না। রোনাল্ডোর কেরিয়ারের সেরা ফ্রি-কিক।
২. বনাম আতলেতিকো মাদ্রিদ (২০১২)
লা-লিগার দৌড়ে থাকা রিয়াল মরশুমের শেষ দিকে ম্যাচ খেলতে নামে নিজেদের শহরের প্রতিপক্ষ আতলেতিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই বক্সের থেকে ৩০ গজেরও বেশি দূরে ফ্রি-কিক পায় রিয়াল। কিক নিতে যান রোনাল্ডো। রেফারির বাঁশি শোনা মাত্র ছুটে নিয়ে গোলার মত শট নেন রোনাল্ডো। বুলেটের বেগে বলটি হাওয়ায় উড়ে তারপর ডিপ করে গোলরক্ষক থিবো কুর্তুয়া-কে হতবাক করে, গোলপোস্টের ডান দিক ঘেষে গোলে ঢোকে। ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে রিয়ালকে জিতিয়েছিলেন রোনাল্ডো। আর সেই ফ্রি-কিকটি তার জীবনের সেরা ফ্রি-কিক গুলির মধ্যে একটি।
৩. বনাম মার্সেই (২০০৯)
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে মার্সেইয়ের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা পড়ে রিয়াল মাদ্রিদের। ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের একদম সোজাসুজি গোল থেকে ৩৪ গজ দুরে ফ্রি-কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিকটি নিতে প্রস্তুত হন রোনাল্ডো। বাঁশি বাজার পর স্তাদ কলেদ্র ঠাসা দর্শক অবাক হয়ে দেখেন রোনাল্ডোর মারা নাকল্ বল ফ্রি-কিক মানবপ্রাচীর টপকে হাওয়ায় গোত্তা খেয়ে গোলকিপারের বাড়ানো হাত ছুঁয়ে গোলপোস্টের বাঁ দিকের কোণ দিয়ে ঢুকে জালে জড়িয়ে যায়। রোনাল্ডোর ওই মরশুমের সেরা গোল।
৪. বনাম স্পেন (২০১৮)
২০১৮ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল স্পেন ও পর্তুগাল। রোনাল্ডোর জোড়া গোল সত্ত্বেও ম্যাচে ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল পর্তুগাল। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে গোল থেকে ২৫ গজ দূরে নির্বোধের মত ফাউল করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পিকে। বল বসিয়ে গভীর একটি স্বাস নেন রোনাল্ডো। বাঁশি বাজা মাত্র পাঁচ পা ছুটে শট নেন রোনাল্ডো। তার বাঁক খাওয়ানো শট স্প্যানিশ দেওয়াল টপকে গোলকিপার দাভিদ দ্য হিয়া-কে দাঁড় করিয়ে রেখে গোলপোস্টের টপ রাইট কর্নার দিয়ে ঢুকে জালে জড়িয়ে যায়। গোটা গ্যালারি হাততালি দিয়ে বরণ করে নেয় পর্তুগিজ মহাতারকার শ্রেষ্ঠত্বকে।
৫. বনাম আর্সেনাল (২০০৯)
২০০৯ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই পক্ষ। নিজেদের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে এমিরেটসে আসে রেড ডেভিলরা। ম্যাচের ৯ মিনিটে গোলের থেকে ৩৫ গজেরও বেশি দূরে রোনাল্ডো-কে ফাউল করে রবিন ভ্যান পার্সি। ডান দিক ঘেষে ফ্রি-কিক পায় ম্যান ইউ। রোনাল্ডো এগিয়ে যান ফ্রি-কিক নিতে। এত দূরে হওয়ায় এবং ডান পায়ের ফুটবলারদের পক্ষে গোলে শট নেওয়ার উপযোগী কোণ না হওয়ায় বেশিরভাগ জন রোনাল্ডো ক্রস করবেন এমনটি আশা করেছিলেন। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নেন রোনাল্ডো। বুলেটের মত বেগে বলটি ঝাঁপিয়ে পড়া গানার্স গোলকিপার আল মুনিরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। রোনাল্ডোর জীবনের সেরা ফ্রি-কিক গুলির মধ্যে অন্যতম এটি।
৬. বনাম ব্ল্যাকবার্ন (২০০৯)
আগের মরশুমের তুলনায় ফিকে দেখাচ্ছিল রোনাল্ডোকে। ২০০৭-০৮ মরশুমের মতো গোলের সামনে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিলো না ওই মরশুমে তাকে। এই অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ ওল্ড ট্যাফোর্ডে ব্ল্যাকবার্নের সাথে লিগের খেলা পড়ে তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি বক্সের বাঁ দিকে গোলের থেকে অনেকটা কঠিন এঙ্গেলে ফ্রি-কিক পায় ম্যান ইউ। রোনাল্ডোই সুযোগ টি নেন। তার শট তিন জনের মানবপ্রাচীর টপকে গোলকিপারের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ডিপ করে তার বাড়ানো হাত এড়িয়ে গোলে ঢুকে পড়ে। সেই মরশুমে রোনাল্ডোর সেরা ফ্রি-কিকগুলির মধ্যে একটি।
৭. বনাম সুইজারল্যান্ড (২০১৯)
শেষ ফ্রি-কিক গোল করেছিলেন এক বছর আগে বিশ্বকাপে। তারপর কোনও গোল নেই ফ্রি-কিক থেকে। দেশের হয়ে মাঠে নেমেছেনও প্রায় এক বছর বাদে। এরকম অবস্থায় নেশনস লিগ সেমিফাইনালে ম্যাচের ২৩ মিনিটে বল নিয়ে গোলমুখে দৌড়োনোর সময় এক সুইস ডিফেন্ডারের অবৈধ চ্যালেঞ্জ মাটিতে ফেলে দেয় রোনাল্ডোকে। গোলের থেকে ২৫ গজ দূরে ফ্রি-কিক পায় পর্তুগাল। কয়েক মুহূর্ত পরেই রোনাল্ডোর শট হওয়ায় গোত্তা খেয়ে হতবাক সুইস গোলকিপার কে দাঁড় করিয়ে রেখে গোলে ঢোকে। প্রায় তিন-বছর বাদে নাকল্ বল পদ্ধতিতে ফ্রি-কিকে গোল করেন রোনাল্ডো।