- Home
- Sports
- Football
- শুধু অসাধারণ গোলকিপার নয়, অধিনায়কও ইকের ক্যাসিয়াস, ফিরে দেখা বর্ণময় কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত
শুধু অসাধারণ গোলকিপার নয়, অধিনায়কও ইকের ক্যাসিয়াস, ফিরে দেখা বর্ণময় কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত
- FB
- TW
- Linkdin
• মাত্র ১১ বছর বয়সে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে খুব দ্রুত মূল দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তারপর সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছিলেন একটানা ১৬ বছর।
• ১৯৯৭ সালের ২৭ শে নভেম্বর স্কুল থেকে তড়িঘড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল তরুণ ইকের-কে। সেই দিন প্রথম রিয়াল মাদ্রিদের সিনিয়র দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় নরওয়ের ক্লাব রোসেনবার্গের বিরুদ্ধে রিসার্ভ বেঞ্চে বসার সুযোগ পান তিনি।
• স্কোয়াডে ডাক পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম একাদশে আসতে অনেক সময় লেগে যায় এরপরে। দু বছর পরে অলিম্পিয়াকসের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম খেলতে নামেন তিনি। সেই সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ গোলকিপার হিসাবে প্রথম একদশে এসেছিলেন তিনি।
• অলিম্পিয়াকস ম্যাচের তিনদিন আগে লা-লিগায় ডেবিউ করেছিলেন ক্যাসিয়াস। আতলেতিকো বিলবাও-এর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে "স্যান মামেস" স্টেডিয়ামে প্রথম রিয়ালের জার্সি গায়ে খেলতে নামেন তিনি।
• দলের হয়ে ট্রফি জেতা হয়ে গিয়েছিল আগেই। রিয়ালের নিয়মিত গোলকিপার হয়ে ২০০৭-০৮ মরশুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে লা লিগা জিততে সাহায্য করার পর লিগের সেরা গোলকিপার হিসাবে জামোরা ট্রফি জেতেন তিনি।
• ২০১০-১১ মরশুমে দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড় রাউল এবং গুটি ক্লাব ছাড়েন। এরপর দলের প্রথম এবং নিয়মিত অধিনায়ক হয়ে ওঠেন ক্যাসিয়াস। শুরু হয় অধিনায়ক ক্যাসিয়াসের নতুন অধ্যায়।
• ২০১২-১৩ মরশুমটি সম্ভবত ক্যাসিয়াসের ফুটবল জীবনে সবচেয়ে খারাপ মরশুম। খুবই অল্প ম্যাচে সেই মরশুমে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কোচ জোসে মৌরিনহো-র পছন্দের তালিকায় ছিলেন না তিনি। তার পরিবর্তে নতুন আসা দিয়েগো লোপেজ-কে বেশি করে ব্যবহার করেন মৌরনহো।
• ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদ-কে দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে নেতৃত্ব দেন তিনি। এক দশকেরও বেশি সময় পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে রিয়াল।
• রিয়ালের প্রফেশনাললিজমের কাছে হার মানে আবেগ। ২০১৪-১৫ মরশুম শেষে চোখের জলে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পোর্তো-তে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন ক্যাসিয়াস। সেখানে গিয়েও চারটি মরশুম খেলে ১ বার পর্তুগিজ লিগের সেরা গোলরক্ষকের সম্মান পান, ২০১৮-১৯ মরশুমে।
• এই সমস্ত কিছুর মাঝে ২০০৮ এবং ২০১২ সালে স্পেনের ইউরোজয়ী এবং ২০১০ সালে স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনালে তার অসাধারণ সেভ ম্যাচ ফাইনাল জিততে সাহায্য করে স্পেন-কে।
• দেশ ও ক্লাবের জার্সিতে দুরন্ত পারফরমেন্সের সৌজন্যে শুধু অবিশ্বাস্য গোলরক্ষক নয়, অসাধারণ অধিনায়ক হিসেবে বিশ্ব ফুটবলে তার নাম তিরকাল স্মরণ রাখবে সকলে। অধিনায়ক হিসেবে দেশকে দুটি ইউরো কাপ ও একটি বিশ্বকাপ পরপর দেওয়ার রেকর্ড খুব কম প্লেয়ারের রয়েছে। তার অসাধারণ কেরিয়ার তাকে কিংবদন্তী তকমা দিয়েছে।