- Home
- Sports
- Football
- ব্রিটিশ ঔদ্ধত্যকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ১১ বাঙালি, ফিরে দেখা মোহনবাগান দিবসের ইতিহাস
ব্রিটিশ ঔদ্ধত্যকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ১১ বাঙালি, ফিরে দেখা মোহনবাগান দিবসের ইতিহাস
- FB
- TW
- Linkdin
২৯ জুলাই মোহনবাগানের ইতিহাসে সবথেকে গর্বের দিন। ১৯১১ সালের এই দিনে ক্লাবের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। শিল্ড ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান।
তারপর থেকেই প্রতিবছর ২৯শে জুলাই ক্লাব তাঁবুতে ‘মোহনবাগান দিবস’ পালিত হয়৷ ১৯১১ সালে ১১ বাঙালির শিল্ড জয়ই দেশের বাইরে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাগানের পরিচয় করে দিয়েছিল৷
খালি পায়ে ইংল্যান্ডের দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিল গঙ্গাপারের ক্লাব৷ উপস্থিত ৮০ হাজার দর্শক সাক্ষী থেকেছিলেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের৷
পরাধীন দেশে সেই সময় সাহেবদের হারিয়ে মোহনবাগানের এই শিল্ড জয়ের ঘটনা সমগ্র দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলে।খেলার মাঠে সাহেবদের মুখোমুখি লড়াইয়ে খালি পায়েও যে হারানো সম্ভব সেটাই দেখিয়ে দেয় মোহনবাগান৷
আইএফএ শিল্ড শুরু হয়েছিল সেই ১৮৯৩ সালে। ১৯১১ সালে প্রথম কোনও ভারতীয় দল হিসেবে মোহনবাগান এই টুর্নামেন্ট জেতে। কাজেই বাংলা তখা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে বাগানে আই এফ এ শিল্ড জয়ের এই দিনটি গুরুত্ব অভাবনীয়।.
১৯১১ সেই ফাইনালে প্রথম থেকেই হার না মানা মনভাব নিয়ে খেলতে নামে মোহনবাগান দল। খেলায় বাগে না আনতে পেরে মারমুখী হয়ে ওঠে ব্রিটিশ দল। তাদের কড়া ট্যাকেলে গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় একাধিক সবুজ-মেরুণ প্লেয়ার।
প্রথমার্ধের কিছুক্ষণ আগে গোল করে এগিয়ে য়ায় ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ার। গোল খাওয়ায় কিছুটা ভেঙেও পড়েছিল সেদিন মাঠে উপস্থিত দর্শক থেকে প্লেয়াররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে নামে গোটা দল।
ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য প্রাণপণ লড়াই চালায় মোহনবাগান দল। বাগান অধিনায়ক শিবদাস ভাদুড়ির অসামান্য় গোলে সেদিন ম্যাচে ফিরেছিল সবুজ-মেরুণ শিবির।
গোল শোধ করার পর জয়ের জন্য ঝাঁপা মোহনবাগান। ম্যাচ শেষের দিকে এগোনোয় স্নায়ূর চাপ বাড়তে থাকে সকলের মধ্যে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অভিলাষ ঘোষের গোলে ম্য়াচ জিতে ইতিহাস রচনা করে মোহনবাগান।
সেদিন ময়দান থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ব্রিটিশদের হারিয়ে গৌরব ফেরানো ফুটবলারদের মাথায় তুলে নিয়ে যান হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী৷ আইএফএ শিল্ড জয় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম অধ্যায় ছিল বলেই মনে করেন সকলে। ব্রিটিশদের হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় চির অমরত্ব লাভ করেছিল সেদিনের সবুজ-মেরুণের স্বপ্নের 'এগারো'। যা নিয়ে পরে তৈরি হয় 'এগার' নামক সিনেমাও। সত্যিই ১৯১১-র সেই ম্যাচ ব্রিটিশ শাসিত ভারতে শুধু খেলা ছিল না ছিল সংগ্রাম।