হাততালি দিলেই ম্যাজিক, মিলবে একাধিক রোগমুক্তি থেকে মন খারাপের দাওয়াই
- FB
- TW
- Linkdin
আকুপ্রেশারের এ তত্ত্বটি দারুণ কাজের। হাততালি দিলে শরীরের রক্তচলাচলে বাধা দূর হয়ে যায়। সব বয়সী নারী-পুরুষের রক্তচলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এমনকি অনেক রোগ সারাতেও হাততালি কার্যকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বিষন্নতা, অনিদ্রা, মাথাব্যথা, বাত ও কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত হাততালি দেওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এমন আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে হাততালির মধ্যে।
প্রতিদিন আধঘণ্টা করে হাততালি দিলে নানা উপকার পাওয়া যায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে হাততালি। এছাড়া অ্যাজমার মতো নানা সমস্যায় হাততালি দিলে উপকার পাওয়া যায়।
চিনা চিকিৎসা পদ্ধতি আকুপ্রেশারের সময় হাতের তালুর বিভিন্ন অংশে চাপ দেওয়া হয়। কখনো খালি হাতে আবার কখনো একটি বিশেষ ধরনের কাঠি ব্যবহার করে। এতে করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ হয়ে ওঠে।
একইভাবে শুধুমাত্র হাততালির মাধ্যমেও হাতের বিভিন্ন পয়েন্টে চাপ পড়ে। এতে করে আপনি আকুপ্রেশারের মতো সমানভাবে উপকৃত হতে পারেন। আর তাই প্রতিদিন যেকোনো খুশির সংবাদে সবাই মিলে একসঙ্গে হাততালি দিতে পারেন।
সবাই মিলে একসঙ্গে মিনিটখানেক হাততালি দিলে শরীরের স্নায়ুগুলো আগের চেয়ে সক্রিয় হয়ে উঠবে। আপনি অনুভব করবেন দুই হাতের ঘর্ষণের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। মনে ফুরফুরে অনুভূতি তৈরি হবে। স্ট্রেস থেকেও মুক্তি পাবেন।
নিয়মিত হাততালি দিলে আপনি হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। রোজ হাততালি দিলে পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, কিংবা গাঁটের ব্যথা থেকে মিলতে পারে মুক্তি।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে গেঁটেবাতের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। হাততালি দিলে কিন্তু এই সমস্যা চলে যায়। হাততালি বেশি দিলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
হাততালি দিলে মানুষের টেনশন কমে। একই সঙ্গে চুল পড়া ও মাথা যন্ত্রণাও কমে। নিয়মিত হাততালি দিলে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ভালো থাকে। হাঁপানি থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। নিয়মিত হাততালি দিলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালো থাকে।
শিশুদের ক্ষেত্রে যারা বেশি হাততালি দেয়, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি পরিশ্রমী হয়। এদের বানান ভুলের পরিমাণও কম। হাততালি দিলে বাচ্চাদের হাতের লেখারও উন্নতি হয়।