- Home
- Lifestyle
- Health
- অধিকাংশ দিনই ব্রেকফার্স্ট খেতে ভুলে যাচ্ছেন? অজান্তে শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ
অধিকাংশ দিনই ব্রেকফার্স্ট খেতে ভুলে যাচ্ছেন? অজান্তে শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ
- FB
- TW
- Linkdin
বিশেষজ্ঞের মতে, ব্রেকফার্স্ট না খেলে শরীরে শক্তি কমে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ব্রেকফার্স্ট স্কিপ করেন তাদের সারাদিন দুর্বল লাগে। ক্লান্তি বোধ, ঘুম ঘুম ভাব, কাজে উদ্যোগ না পাওয়ার কারণ হল ব্রেকফার্স্ট না খাওয়া। এমন হতে হতে শরীর দুর্বল হয়ে কার্যক্ষমতা হারাতে বসেন অনেকে। তাই শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে সঠিক সময় ব্রেকফার্স্ট খান।
বয়স ৩০ এর কোটা পা দিলে একের পর এক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এই তালিকায় সবার আগে আসে ডায়াবেটিস। জানেন কি, সঠিক সময় ব্রেকফার্স্ট না খেলে হতে পারে ডায়াবেটিস। এই রোগ অল্প বয়সেও শরীরে থাবা বসাতে পারে। আর একবার ডায়াবেটিস হওয়া মানে তা ক্রমে শরীরের সব অঙ্গের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তাই সঠিক সময় ব্রেকফার্স্ট খান।
ওজন কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকার প্রর্বণতা থাকে অনেকের। এই ভুল আর করবেন না। ওজন বৃদ্ধি হতে পারে সঠিক সময় ব্রেকফার্স্ট না খেলে। যারা ওজন কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকেন, তারা এই ভুল আর করবেন না। এতে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। সঠিক সময় খাবার খান। ওজন কমাতে চাইলে সঠিক সময় ব্রেকফার্স্ট খাওয়া দরকার।
স্মৃতি শক্তি হ্রাস পেতে পারে ব্রেকফার্স্ট না করলে। সঠিক সময় খাবার না খেলে মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। এর থেকে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতা দেখা দেয়। এবার থেকে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। ভুলেও ব্রেকফার্স্ট স্কিপ করবেন না। কিংবা, বেলা ১২টায় ব্রেকফার্স্ট খাবেন না। সকাল ৯টার মধ্যে খাবার খেয়ে নিন।
হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে এই ভুলে। যারা নিয়মিত ব্রেকফার্স্ট খান না তাদের হার্টের রোগের প্রবণতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রেকফার্স্ট স্কিপ করার ভুলে অধিকাংশ হার্টের রোগে ভুগছেন। সকালে উঠে দীর্ঘ সময় না খেলে শরীরে চাপ পড়ে। এর থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এবার থেকে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
সুস্থ থাকতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্রেকফার্স্ট খান। গরমে অনেকেরই খাবারে রুচি থাকে না। সে কারণে খাবার স্কিপ করে থাকেন। এই ভুলে শরীরের বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। বিশেষ করে সকালে সঠিক ব্রেকফার্স্ট না খেলে সারাদিন পেট খালি থাকে। এই কারণে সারাদিন শরীরে অস্বস্তি বোধ করবেন। আর এই ভুল করবেন না।
তাছাড়া সুস্থ থাকতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। সঠিক ঘুম প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। রোজ আন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমান। তা না হলে বাড়বে শারীরিক জটিলতা। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে সারাদিন অস্বস্তি বোধ করবেন। আবার অনেকে রাতে বিছানায় শুয়ে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ঘাঁটেন। এতে বাড়ে শারীরিক জটিলতা।
এর সঙ্গে রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস করে জল খান। গরমে ঘামের মধ্য দিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় জল বেরিয়ে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি হলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। তেমনই জলের অভাবে বাড়ে নানান জটিলতা। সারা বছরই ৭ থেকে ৯ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। তা না হলে বাড়বে শারীরিক জটিলতা।
নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। রোজ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। তবেই শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে। অধিকাংশেরই দীর্ঘ সময় কাটে কমপিউটারে কাজ করে। এক জায়গায় একভাবে বসে থাকা জন্য যেমন মেদ বৃদ্ধি হচ্ছে তেমনই বাড়ছে শারীরিক জটিলতা। এবার থেকে মেনে চলুন বিশেষ টোটকা। রোজ এক্সারসাইজ করুন। আর সারা দিনে যতটা পারবেন অ্যাকটিভ থাকার চেষ্টা করুন।
খাদ্যতালিকায় রাখুন পুষ্টিকর খাবার।খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার। স্মুদি, শাকসবজি, ফল, ওটস, ব্রাউন ব্রেডের মতো খাবার খেতে পারেন। এতে বজায় থাকবে সুস্বাস্থ্য। এড়িয়ে চলুন ভাজাভুজি। যতটা পারবেন কম খান রেস্তোরাঁর খাবার। এতে বৃদ্ধি পাবে শারীরিক জটিলতা।