সারাদিনের মধ্যে এই সময়টাতে ভুলেও খাবেন না জল, অজান্তেই বাড়বে জটিল রোগের আশঙ্কা
জলের অপর নাম জীবন। জল শুধু আমাদের তেষ্টা মেটায় না, সেই সঙ্গে শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখে।তবে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়াও শরীরে ডেকে আনে চরম বিপর্যয়। এতে শরীর অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ কিছু সময়ে জলপান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। জেনে নিন কখন জল খাওয়া শরীরের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে।
- FB
- TW
- Linkdin
শরীর ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া যেমন ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু তেমনই আবার অতিরিক্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে নুনের ভারসাম্য বেড়ে গিয়ে নানা ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই জল তেষ্টা না পেলে জল পান ভুলেও নয়।
যখন দেখবেন প্রস্রাব হলুদ হচ্ছে না, তখন বুঝবেন আপনার শরীরের জলের বিশেষ কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ একটাই। প্রস্রাব হলুদ হওয়া মানেই শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কিন্তু জলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে অনবরত জল পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ভারি খাবার, যেমন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ অথবা ডিনারের আগে জল খেতে পারেন, কিন্তু খাবার পরে একদমই জল বেশি খাবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেতে খেতে জল খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
শরীরচর্চার করার পরেই সঙ্গে সঙ্গে জল পান করবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি। হালকা এক্সারসাইজের পর অল্প করে জল খেতে বলে ট্রেনাররা। তবে মনে রাখবেন ইনটেন্স ওয়ার্কআউটের পর জল পান একেবারেই উচিত নয়।
শরীরচর্চা করার সময় ঘামের সঙ্গে অনেক পরিমাণে মিনারেল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘাটতি মেটাতে শরীরচর্চার পর ডাবের জল অথবা যে কোনও এনার্জি ড্রিঙ্ক খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জল একেবারেই নয়।
জল তেষ্টা পেলে বিভিন্ন ফ্লেবারের জল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে জল তেষ্টা মেটার সঙ্গে সঙ্গে খিদেও অনেকগুন বেড়ে যায়। তাই জল তেষ্টা পেলে সাধরণ জল পান করাই ভাল। এছাড়াও এই ধরনের ফ্লেবার জলে ক্যালরির মাত্রা খুব বেশি থাকে। যা থেকে মোটা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
ইষদুষ্ণ জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। এবং শরীর ভাল রাখার জন্য টক্সিন দূর হওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। গরম জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়ে। যার ফলে ঘাম হয়। এর ফলেই শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়।