- Home
- Lifestyle
- Health
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুস্বাদু জুসের গুণে, খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি খাবার
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুস্বাদু জুসের গুণে, খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি খাবার
- FB
- TW
- Linkdin
খেতে পারেন টমেটো জুস। এতে থাকা লাইকোপেন, ভিটামিন সি, ফেনোলিন অ্যাসিড হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। তেমনই। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। এতে প্রচুর গামা এমিনোবিউটোরিক অ্যাসিড থাকে। এটি শরীরের জন্য উপকারী। কোলেস্টেরলের রোগীরা রোজ ১ বাটি করে টমেটোর জুস খান। এতে দূর হবে শরীরের একাধিক ঘাটতি তেমন কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
সয়া মিল্ক কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি থাকে। আছে আইসোফ্লেভন নামক উপাদান। যা শরীর পুষ্টি জোগায়। তেমনই কোলেস্টেরল রাখে নিয়ন্ত্রণে। রোজ সকালে ১ গ্লাস করে সয়া মিল্ক খান। এটি শরীর রাখবে সুস্থ। যেমন কোলেস্টেরল রাখবে নিয়ন্ত্রণে তেমনই একাধিক ঘাটতি পূরণ করবে।
কোলেস্টেরল রোগীরা খেতে পারেন চেরি জুস। চেরি কম-বেশি সকলেই পছন্দ করেন এবার সুস্থ থাকতে খান এই সুস্বাদু ফলের জুস। চেরিতে আছে পলিফেনল নামক উপাদান। আছে ভিটামিন. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, পুষ্টি ও খনিজ উপাদান। যা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। রোজ খেতে পারেন এই জুস। এর গুণে শরীর সুস্থ থাকবে ও কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
খেতে পারেন বেদানার জুস। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ বেদানা। এটি শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করার সঙ্গে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। এতে হার্টের ধমনীতে সঠিক রক্ত সরবরাহ হয়। শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন বেদানার রস। তাছাড়া, রোজ একটি করে মরশুমি ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।
কোলেস্টেরলের রোগীরা খেতে পারেন হলুদ-দুধের শরবত। হলুদ বেটে নান। তা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানান। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য থাকে এতে। এটি খেলে শরীর থাকবে সুস্থ। দূর হবে একাধিক জটিলতা। তেমনই বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। রোজ কোলেস্টেরলের রোগীরা খেতে পারেন এই শরবত।
তাছাড়া, প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন কোলেস্টেরল ধরা পড়লে। এতে অধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। খাবার সুবিধার জন্য আজকাল প্রায় সকলেই প্রসেসড ফুড খেয়ে থাকি। রোজই খাদ্যতালিকায় থাকে এই ধরনের খাবার। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন প্রসেসড ফুড। সঠিক খাদ্যাভ্যাস সুস্থ রাখবে আপনাকে।
ভাজভুজি ভুলেও খাবেন না। এই ধরনের খাবার থেকে শরীরে অধিক তেল শরীরে প্রবেশ করে। বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরল। তাই একেবারে বাদ দিন ভাজাভুজি খাবার। আলু ভাজা, চপ জাতীয় খাবার যেমন খাবেন না, তেমনই অধিক তেল দিয়ে রান্না করা না করাই ভালো। এই ধরনের খাবারও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চেষ্টা করুন সেদ্ধ খাবার খেতে।
কোলেস্টেরল দেখা দিলে পাঁঠার মাংস খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ভিটামিন বি ৩, ভিটামিন বি ১২, জিঙ্ক, আয়রনের মতো উপকারী উপাদান আছে। তবে, পাঁঠার মাংস কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এটা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। তাই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন পাঁঠান মাংস।
ধূমপান ও মদ্যপান একেবারে বন্ধ করুন। এই দুই খারাপ অভ্যেস থেকে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সপ্তাহে ১দিনও খাওয়া উচিত নয় অ্যালকোহল। তেমনই ধূমপান করা পুরোপুরি বন্ধ করুন। সঠিক সময় নিজের খারাপ অভ্যসে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাড়বে কোলেস্টেরলের মাত্রা। যা এক সময় মৃত্যুর কারণে পর্যন্ত হতে পারে।
রোজ নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। কর্ম ব্যস্ত জীবনে সময় নেই শরীর চর্চার। এতেই বাড়ছে একাধিক রোগ। রোজ যতটা পারবেন শারীরিক ভাবে অ্যাকটিভ থাকার চেষ্টা করুন। নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। সঙ্গে রোজ এক্সারসাইজ করুন। সুস্থ থাকতে চাইলে শরীর চর্চা করা সবার আগে প্রয়োজন।