নতুন মায়েরা মেনে চলুন এই ১০টি টিপস, সহজ উপায় সুস্থ থাকবে মা ও বাচ্চা দুজনেই
- FB
- TW
- Linkdin
সদ্যজাত সন্তানের যত্ন নিলেই শুধু হবে না। সঙ্গে যত্ন নিতে হবে মায়ের। বাচ্চার জন্মের পর মায়েরা সঠিক সময় খাবার খান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চাকে দেখতে গিয়ে মায়ের যত্ন হয় না। এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তা প্রথম বোঝা না গেলেও পরে সমস্যা বড় আকার নেয়। তাই রোজ সঠিক সময় খাবার খান।
সবার আগে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন স্বাস্থ্যকর খাবার। সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীর দূর্বল হয়ে যায়। এই সময় সঠিক খাবার খাওয়া দরকার। ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম থেকে একাধিক খনিজ রাখুন তালিকায়। নতুন মায়েদের এই সময় সঠিক খাবার খাওয়া দরকার। একদিকে দূর্বল শরীর অন্য দিকে বাচ্চা ব্রেস্ট ফিডিং করে। তাই রোজ পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করুন।
বাচ্চা যতদিন স্তন্যপান করে তত দিন মায়ের উচিত অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা। অ্যালকোহল শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। এতা পরোক্ষভাবে বাচ্চারও ক্ষতি করবে। আর সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীর দূর্বল থাকে। তার ওপর এমন খাবার খেলে শরীরে আরও বড় ক্ষতি হবে। তাই মদ্যপান থেকে সব সময় দূরে থাকুন। এমনকী গর্ভধারণের সময় থেকে মদ্যপান ত্যাগ করুন।
আজকাল বহু মেয়ে ধূমপান করেন। আপনারও এমন অভ্যেস থাকলে সবার আগে তা ত্যাগ করুন। ধূমপান করলে বাচ্চার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়। সিগারেটে এমন কিছু ক্ষতিকারক উপাদান থাকে যা মায়ের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে, তেমনই পরোক্ষভাবে বাচ্চারও ক্ষতি করে। যতদিন বাচ্চা স্তন্যপান করছে ততদিন নিকোটিন গ্রহণ করবেন না।
সন্তান জন্মের পর শরীরচর্চা করুন। কঠিন এক্সারসাইজ করতে ডাক্তার বারন করে থাকেন। তবে, হাঁটাচলা করুন। চেষ্টা করুন শারীরিক ভাবে অ্যাকটিভ থাকতে। তা না হলে বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা। সুস্থ থাকতে নতুন মায়েরা অবশ্যই মেনে চলুন এই টোটকা।
ভুলেও খাবেন না জাঙ্ক ফুড ও প্রসেসড ফুড নয়। এই দুই খাবার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে থাকা অধিক নুন ও চিনি মা ও বাচ্চা উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তেমনই যতটা পারবেন কম খান চিনি ও নুন। এই সময় মায়ের শরীর দূর্বল থাকে। তাই এমন খাবার ভুলেও খাবেন না যা শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
ব্রেস্ট ফিডিং-এর সময় ব্যথা বা অস্বস্তি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক মায়ের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় এমন সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। এতে বাচ্চা ও মা উভয়ে ক্ষতি হয়। ব্রেস্ট ফিডিং এর সময় শরীরে কোনও রকম পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই সময় প্রচুর জল খান। বাচ্চা যতদিন স্তন্যপান করছে, তত দিন প্রচুর জল খেতে হবে। রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। অনেক মায়েরা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন। এই অবস্থায় ব্রেস্ট ফিডিং করানো মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রচুর জল খান। বাচ্চা যতদিন ব্রেস্ট ফিডিং করেন ততদিন নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করুন। পুষ্টিকর খাবার রাখুন তালিকায়।
স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করুন। সন্তানের জন্মের পর স্ট্রেস দেখা দিতে পারে। স্ট্রেস নানা রকম শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। এমনকী, গর্ভধারণ করতে চাইলে সবার আগে স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করুন। এতে সব রকম জটিলতা থেকে মুক্তি পাবেন। স্ট্রেস আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, এই কথা মাথায় রাখুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন।
না জেনে ওষুধ খাওয়া ভুলেও উচিত নয় এমন সময়। এই সময় শরীর দুর্বল থাকে। নানা রকম জটিলতা হতেই পারে। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হজমের সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা ও জ্বর-সর্দির মতো সমস্যা হলেও উপেক্ষা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।