রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় এই সব খাবার, অবিলম্বে বাদ দিন তালিকা থেকে
- FB
- TW
- Linkdin
অনেক সময় সুস্বাস্থ্যের জন্য যে সব খাবারগুলি খাওয়া উচিত, তা বাদ দিয়ে আমরা অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলি খেয়ে নিই। আসলে সুস্বাস্থ্যকর খাবার অনেক সময় খেতে খুব একটা ভালো হয় না। তার জেরেই সমস্যা দেখা দেয়। তার জেরেই কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
যে খাবারগুলি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে সেগুলি খেতে যতই ভালো হোক না কেন অবিলম্বে সেগুলিকে ত্যাগ করুন। না হলে বার বার বিভিন্ন রোগে ভুগতে হবে আপনাকে।
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় চিনির পরিমাণ যতটা কম রাখবেন ততই ভালো। চায়ের মধ্যে চিনি না খাওয়াই ভালো। কারণ অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণকে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে টিউমার নেক্রসিস আলফা, সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন এবং ইন্টারলেউকিন-৬ এর মত প্রদাহজনিত প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
অতিরিক্ত লবণ শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। অনেকেই খাবারের পাতে আলাদা করে কাঁচা লবণ খান। তা খাবেন না। রান্নায় যেটুকু লবণ ব্যবহার হচ্ছে সেটুকুই খান।
বেকারি আইটেম বা প্যাকেটজাত চিপস অথবা ফ্রোজেন খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ থাকে। এর ফলে অটোইমিউন রোগের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই কাঁচা লবণ না খাওয়ার পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাবারও না খাওয়াই ভালো।
ভাজাভুজি খেতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু, এই খাবার শরীরের কোনও উপকারে লাগে না। ভাজা খাবারে গ্লাইকেশনের মাত্রা অতিরিক্ত বেশি থাকে। এটি রান্নার সময় প্রোটিনের সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বাঙালির কাছে চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা খাবার। চা ছাড়া সকাল শুরু করার কথা অনেকে ভাবতেই পারেন না। কিন্তু, এগুলি শরীরে পক্ষে খুব একটা ভালো নয়। এই ধরনের পানীয়গুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। আর ঘুম যদি ঠিক না হয় তাহলে তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
স্যাচুরেটেড ফ্যাটের উচ্চ ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই ধরনের খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যালেন্স করে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান। তাহলে সমস্যা হবে না।
ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ শরীরের পক্ষে খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু, এগুলির মধ্যে ওমেগা ৬-এর পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলেই দেখা যায় সমস্যা। যেমন অনেকেই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে ওমেগা ৬ রয়েছে এমন খাবার বেশি খান। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।