ঘনঘন 'হাই' তুলছেন, শরীরের পক্ষে ভাল না খারাপ, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বাঙালির সঙ্গে ভাতঘুম যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। অফিস হোক কিংবা বাড়ি দুপুরে লাঞ্চের পরে এই বিশেষ ঘুম যেন মাস্ট বাঙালিদের। তবে ঘুমের আগে হাই ওঠা যেন জানান দেয় ঘুমের আগের মুহূর্তকে। অনেকেই আছেন ঘনঘন হাই তোলেন এবং হাই উঠলেন মনে করেন ঘুম পেয়েছে, সত্যিই কি ঘুমের সঙ্গে হাই তোলার কোনও সম্পর্ক রয়েছে। কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
| Published : Apr 17 2021, 10:12 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
অনেকই আছেন ঘনঘন হাই তোলেন এবং হাই উঠলেন মনে করেন ঘুম পেয়েছে, সত্যিই কি ঘুমের সঙ্গে হাই তোলার কোনও সম্পর্ক রয়েছে।
অনেকে মনে করেন ঘনঘন হাই তোলা শরীরের পক্ষে খুব খারাপ। যার ফলে শরীরে অজান্তে দানা বাঁধতে পারে কোনও জটিল রোগ। যদিও হাই তোলা শরীরের পক্ষে খারাপ না ভাল এর কোন সত্যতা নেই।
বহুকাল থেকেই আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে হাই তোলা মানে ঘুমের সংকেত, কিন্তু এই ধারণা যে একদম ভুল তা জানিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, আমাদের মস্তিষ্কের পুনরায় তার কার্যক্ষমতা দ্বিগুণ করার জন্য আমরা হাই তুলে থাকি। এককথায়, হাই তুললে আমাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, আর মস্তিষ্ক মধ্যে দ্বিগুণ কাজ করার ক্ষমতা চলে আসে।
অনেকেরই একটানা অফিসে কাজ করার সময় হাই ওঠে। কারণ মন দিয়ে কাজ করার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পরে। এবং সেই কারণে মস্তিষ্ক পুনরায় তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা হাই তুলে থাকি।
চিকিৎসা বিজ্ঞান আরও জানাচ্ছে, অনেক সময় হাই ওঠার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামাইন লেভেল বেড়ে যায়, যার ফলে অক্সিটোসিন নামে এক ধরনের কেমিক্যাল এর ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই ক্ষরণের ফলে আমাদের মন ও মেজাজ ফুরফুরে হয়ে ওঠে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাই তোলা নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও হাই তোলা খারাপ তো নয়, বরং শরীরের জন্য অনেকটাই ভাল।