সামান্য এই ৫ উপাদানেই লুকিয়ে রয়েছে কঠিন রোগের মহৌষধ, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও
শীত-গরমের মাঝামাঝি সময়টা মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, এবং তার সঙ্গে যেন জ্বর-কাশি-ঠান্ডা-গলা ব্যথা লেগেই রয়েছে।। এই সময়টাতে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও পরিবর্তন দেখা যায়। এবং তার জন্যইব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সব কিছুরই পরিবর্তন দরকার। শীতকালেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ভীষণ জরুরি। জানেন কি, রান্নাঘরের এই ৫ টি মশলাতেই রয়েছে অসীম ক্ষমতা, যা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি মুক্তি পাবেন হাজারো জটিল রোগ থেকে।
- FB
- TW
- Linkdin
আদা- রান্নাঘরে আদা সবসময়েই থাকে। আদা শরীরের জন্য কতটা উপকারি তা প্রায় সকলেই জানে। আদা শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখে। আবার পাচন প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে আদা। খাবার পরে আদা ও লেবুর মিশ্রণ পান করলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদার সঙ্গে লেমন গ্রাস দারুচিনি ফুটিয়ে চা-এর মতোন খেলে কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা চা খাওয়াও শরীরের জন্য ভাল। এছাড়াও আদার রসে বিটনুন ও লেবু মিশিয়ে খেলে পেট পরিস্কার হয়। গলা খুসখুস করলে আদা খেলে উপকার মেলে।
রসুন- যারা দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছেন সেখান থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে গেলে প্রতিদিন খান এই এককোয়া রসুন। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারলে তা অনেক বেশি কার্যকরী। আর যারা কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারবেন না তারা চা-এর সঙ্গে খেতে পারেন। চাইলে মধু ও আদা সহযোগে এই রসুন খেতে পারেন। তবে রান্না করা রসুনের গুনাগুণ কাঁচা রসুনের থেকে অনেকটাই কম। তাই যতটা পারবেন কাঁচা রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ঠান্ডা এবং সর্দি কাশি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
গোলমরিচ- শীতকালে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে গেলে গোলমরিচ ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
জোয়ান- জোয়ান খেলে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তেমনি শরীরের রক্তের পরিমাণও বাড়ে।
লবঙ্গ- রান্নাঘরের এই ছোট্ট উপাদানটিও ভীষণ কার্যকরী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লবঙ্গ দারুণ কাজ করে। লবঙ্গর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। চায়ের মধ্যে লবঙ্গ ফুটিয়ে নিয়ে তা পান করলে উপকার পাওয়া যায়।