কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে ভুলেও খাবেন না এই খাবারগুলি, ফল হতে পারে মারাত্মক
কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যা অনেক রোগের কারণ হতে পারে। অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নানান ওষুধ গ্রহণ করেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে তা কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- FB
- TW
- Linkdin
চিকিৎসকদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্যের উৎস হল আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া, জল কম খাওয়া, দুশ্চিন্তা, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অন্ত্রনালিতে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
ঋতু পরিবর্তনের ফলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে সুস্থ থাকতে অবশ্য এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি।
কাঁচা কলা- কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের কাঁচা কলা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কাঁচা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে মজার বিষয় এটি যে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পাকা কলা আবার অব্যর্থ ভূমিকা পালন করে।
দুগ্ধজাত পণ্য- যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গরুর দুধে যে ধরনের প্রোটিনের উপাদান থাকে তার ফলে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করা হয়।
ভাজা খাবার বা ফাস্টফুড-
ভাজা খাবার বা ফাস্ট ফুডগুলিতে ফ্যাট বেশি এবং ফাইবার কম থাকে। এই ধরনের খাদ্য হজম ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। চিপস, কুকিজ, চকোলেট এবং আইসক্রিমের মতো ফাস্টফুড স্ন্যাকস এর বদলে তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য বিকল্প হিসেবে বেছে নিন। এছাড়া ডায়েটে টাটকা ফল এবং সবুজ সবজি রাখা উচিত।
রেড মিট-
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অতিরিক্ত পরিমানে থাকলে পাঁঠার মাংস বা যে কোনও ধরণের রেড মিট খাওয়া বন্ধ করা উচিত। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এই রেড মিট।
রেড মিটে ফ্যাট বেশি থাকে এবং ফাইবার কম থাকে। এই ধরণের পুষ্টির সংমিশ্রণ কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে এই ধরণের খাদ্য এড়িয়ে চলুন।