- Home
- Lifestyle
- Health
- এই ৭টি খাবার স্বাভাবিকভাবেই দেহে ডোপামাইন-এর পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে, জেনে নিন এর উপকারিতা
এই ৭টি খাবার স্বাভাবিকভাবেই দেহে ডোপামাইন-এর পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে, জেনে নিন এর উপকারিতা
- FB
- TW
- Linkdin
ডোপামাইনকে মোটিভেশন হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন যা অনুপ্রেরণা এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি একটি নিউরো হরমোন।এটি ধ্যান, এবং প্রেরণার মতো মানসিক ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ী। ডোপামাইন মস্তিষ্কে প্রাকৃতিকভাবে উত্পাদিত হয়, তবে এটি যখন শরীরে ঘাটতি হয়, তখন এটি মানসিক শক্তির অভাব, অবসন্নতা, মনোযোগ বিভ্রান্ত করা, ঘুমের অভাবের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে।
স্বাভাবিকভাবে শরীরে ডোপামাইনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সঠিক ডায়েট প্রয়োজন। এখানে এমন ৭ টি খাবারের বিষয়ে জানানো হল যা ডোপামাইন বাড়াতে সহায়তা করবে, যা আপনাকে আনন্দিত এবং উত্সাহিত করবে।
বাদাম
কাজু বাদাম এবং অন্যান্য বাদামে থাকে প্রচুর পরিমানে টাইরোসিন থাকে, যা ডোপামাইনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, বাদামের গুণগত মান বিবেচনায় এটিকে মস্তিষ্কের জন্য সেরা খাদ্য হিসাবে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন ই মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তিও উন্নত করতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, বাদাম দস্তাও থাকে প্রচুর পরিমানে। যা মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতিকারক আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন বি সিক্স মস্তিষ্কের কোষগুলি মেরামত করতে সহায়তা করে। বাদাম ডোপামাইন এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো মস্তিষ্কের রাসায়নিক উত্পাদনে সহায়ক যা মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন এক মুঠো করে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
ফল-
আপেল, কলা, বেরি, তরমুজ, স্ট্রবেরি এবং পেঁপের মতো ফলগুলিতে কেবল কোয়ার্সেটিন এবং টাইরোসিন থাকে তাই নয়, এতে ডোপামাইন এর উত্পাদন বাড়ানোর জন্য ভিটামিনও থাকে প্রচুর পরিমানে।
নিরামিষ প্রোটিন-
যদি আপনি ভেগান বা নিরামিষাশী হন, তবে সয়াবিন, শিম এবং মটরশুটি জাতীয় খাদ্য আপনাকে রাখতে হবে প্রতিদিনের ডায়েটে। যা টাইরোসিনের ভাল ডোজ এবং এর সঙ্গে ডোপামাইন উত্পাদন বাড়ায়।
ডেয়ারী প্রোডাক্ট-
পনির, দুধ, দই মূলত সমস্ত দুগ্ধজাত পণ্যই টাইরোসিনের একটি দুর্দান্ত উত্স এবং এইক ভাবে ডোপামাইন উত্পাদন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।
চকোলেট-
চকোলেট হরমোন এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে দুটি উপায়ে কাজ করে। প্রথমত, শরীরটি অনুভূতি-হরমোন সেরোটোনিন তৈরি করে। দ্বিতীয়ত, চকোলেটে ফিনাইলিথিলামাইন নামক যৌগের একটি অল্প পরিমাণ থাকে যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ডোপামাইন ছাড়তে উত্সাহিত করে।
আমিষ খাদ্য-
মুরগি, ডিম এবং মাংস থেকে শুরু করে মাছ এবং চিংড়ি এগুলো সবই টাইরোসিন সমৃদ্ধ খাদ্য। এর সহজ অর্থ হ'ল নন-ভেজ খাওয়ার মাধ্যমে ডোপামাইন এর মাত্রাও বাড়তে পারে।
কফি
মনে করা হয় মস্তিষ্ক সতর্ক করতে এবং ডোপামাইন এর মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কফি। এই কারণেই ক্যাফিনেটেড পানীয় পান করার পরে আপনি আরও বেশি সময় জেগে থাকতে এবং কোনও কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন।