- Home
- Lifestyle
- Health
- International Kissing Day: দাঁতের ক্ষয় কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে চুমু খান, রইল চুম্বনের উপকারিতা
International Kissing Day: দাঁতের ক্ষয় কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে চুমু খান, রইল চুম্বনের উপকারিতা
দিনটা ৬ জুলাই। সকাল প্রেমিক যুগল ব্যস্ত ভালোবাসা ব্যক্ত করতে। কারণ দিনটি ওয়ার্ল্ড কিসিং ডে বা বিশ্ব চুম্বন দিবস। ২০০০ সাল থেকে বিটেনে শুরু হয়েছিল কিসিং ডে সেলিব্রেশন। তারপর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে ভালোবাসা মানুষকে মনের অনুভূতি জানাতেই দিনটি পালিত হয়। তবে, বিশ্ব কিসিং ডে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার দিন নয়। এই দিন সবার জন্য। বাবা-মায়ের স্নেহভরা চুম্বন, ভালোবোনের দুষ্টুমি ভরা চুম্বন- আজ সবার দিন। ওয়ার্ল্ড কিসিং ডে বা বিশ্ব চুম্বন দিবসে জেনে নিন চুম্বনের উপকারীতা। রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জেনে নিন কেন চুম্বনের মাধ্যমে ভালোবাসা ব্যক্ত করবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
বর্তমানে হার্টের রোগে অনেকেই ভুগছে। অল্প বয়সেই দেখা দিচ্ছে হার্টের সমস্যা। এই সমস্যায় একবার আক্রান্ত হলে মেনে চলতে হয় কঠিন নিয়ম। সে কারণে হার্ট ভালো রাখতে অনেকেই নানান জিনিস মেনে চলেন। রোগ এক্সারসাইজ করুনে, সঠিক খাবার খান। এবার এই সবের সঙ্গে চুমু খান। হার্ট ভালো থাকবে চুম্বনের গুণে।
উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনে ওষুধ নয়, বরং চুমু খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে চুম্বন। চুম্বনের সময় শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণ হয় আর পেশি সক্রিয় হয়। এই সবের প্রভাব পড়ে শরীরে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে নিয়মিত সঙ্গীর ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করুন।
সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ। উঠে দাঁড়ালেই পিঠে ও কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ না খেয়ে বরং চুমু খান। চুমু খেলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামে হরমোনর ক্ষরণ হয়। এতে শরীরে ব্যথা কমে। তাই রোজ সঙ্গীর ঠোঁটের পরশ অনুভব করতে ভুলবেন না। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।
মাইগ্রেনের মতো যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে চুম্বনের জন্য। নিয়মিত যারা চুম্বন খান তাদের এই সমস্যা কম দেখা যায়। গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। চুমু খেলে মস্তিষ্কে কিছু হরমোনর ক্ষরণ হয়। এতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। মেনে চলুন এই বিশেষ তথ্য। সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে চুম্বনের গুণে।
জানেন কি অ্যালার্জি কমে চুম্বন খেলে। গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়। এতে হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণ কমে। এর প্রভাবে যে কোনও অ্যালার্জির ঝোঁক কমে। তাই ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতেও চুম্বন খেতে পারেন। চুম্বনের রয়েছে একাধিক উপকারীতা। প্রতিদিন চুম্বন খেলে উপকার পাবেন।
মানসিক অবসাদ নতুন বিষয় নয়। বর্তমানে অধিকাংশই মানসিক চাপে ভুগছেন। এই মানসিক চাপ বা মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি মেলে একটি কিসে। প্রতিদিন যারা চুম্বন খান তারা মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পান। বিশ্ব চুম্বন দিবসে রইল বিশেষ তথ্য। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত চুমু খান।
যারা দীর্ঘদিন ধরে ওজন কমানোর প্রচেষ্টা করে থাকলেও অনেক সময় কাজ হয় না। এর থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চুমু খান। ক্যালোরি কমে চুম্বনের গুণে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ২০ সেকেন্ড ধরে চুমু খান তাদের ওজন কমে সহজে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়ম করে চুমু খেতে পারেন।
দাঁতের ক্ষয় রোগ নিরাময়ে চুমু খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দাঁতের ক্ষয় থেকে মুক্তি মেলে চুম্বনের কারণে। জানেন কি চুম্বন খেলে মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া আদানপ্রদান হয়। এই সময় মুখে প্রচুর লালা নিঃসরণ হয়। যার প্রভাবে দাঁতের ক্ষয় কম হয়। দাঁত ভালো রাখতে সঙ্গীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন। এতে উপকার পাবেন।
মাসকুলার ডিসটোনিয়ার, ফেসিয়াল পালসি-র মতো রোগ কমে চুম । চুম্বনের সময় ৩৪টি পেশি ও ১১২ টি পসট্রুয়াল পেশি সক্রিয় থাকে। এর ফলে একাধিক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। শরীর সুস্থ রাখতে চুম্বন খেতে পারেন। নিয়মিত চুমু খান সঙ্গীকে। সঙ্গীর উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্ষে দূর হবে একাধিক রোগ।
তবে, বিশ্ব কিসিং ডে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার দিন নয়। এই দিন সবার জন্য। বাবা-মায়ের স্নেহভরা চুম্বন, ভালোবোনের দুষ্টুমি ভরা চুম্বন- আজ সবার দিন। কপালে, হাতে এমনকী গালে চুম্বন খাওয়ার রয়েছে একাধিক উপকারীতা। কোনওটি স্নেহের প্রকাশ, কোনওটি ভালোবাসার প্রকাশ তো কোনওটি আবেগের প্রকাশ। সব কয় চুম্বনের রয়েছে আলাদা মানে। আলাদা অনুভূতি।