যতই সুস্বাদু হোক না কেন, এই ১০টি খাবার খান হিসেব কষে, দেখে নিন তালিকা
সুস্বাদু খাবার খেতে কার না ভালো লাগে। খাবার পাতে যদি একটা বার্গার কিংবা পিৎজা থাকে তাহলে সব মন খারাপ দূরে চলে যায়। কিন্তু, এই সকল খাবার মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তা জেনেও আমরা খেয়ে চলেছি। আজ রইল ১০টি খাবারের হদিশ। সুস্বাদু এই সকল খাবার খেতে পছন্দ করেন সকলেই। কিন্তু, এগুলো খাবেন খুব অল্প করে। জেনে নিন কী রয়েছে এই তালিকায়।
- FB
- TW
- Linkdin
মেয়োনিজ খেতে কম বেশে সকলেই ভালোবাসেন। স্যান্ডউইচে মেয়োনিজ দিলে তার পুরো স্বাদটাই বদলে যায়। এমনকী, যে কোনও খাবারে ক্রিমি টেক্সচার বানাতে মেয়োনিজ দিয়ে থাকেন অনেকে। কিন্তু, এই খাবার মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই খেতে ভালো লাগে বলে মাত্রাতিরিক্ত মেয়োনিজ খেয়ে চলেছেন, এমন করবেন না। এতে স্বাস্থ্যহানীর সম্ভাবনা থেকে যায়।
অনেকেই টিফিনে ব্রেড বাটার নিয়ে যান। গরম ভাতে মাখন দিয়ে খেতে বেশ লাগে। তবে, জানেন কী, মাত্রাতিরিক্ত মাখন খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এতে শুধু ওজন বাড়ে তাই নয়, সঙ্গে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেতে পারে। আর ওজন বৃদ্ধি মানেই যে কোনও রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। ভুলেও অতিরিক্ত মাখন খাবেন না।
পনির খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে জানেন কী অতিরিক্ত পনির খাওয়া মোটও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে পুষ্টিগুণ রয়েছে ঠিকই। তবে, এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। গবেষণা বলছে, এক টুকরো পনিরে আপনার দৈহিক প্রস্তাবিত পরিমাণের অর্ধেক স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। তাই মাত্রাতিরিক্ত পনির খাওয়া বন্ধ করুন। এতে আপনারই ক্ষতি।
হুইপড ক্রিম খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। মাত্রাতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে বাড়তে পারে ওজন। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই ধরনের ক্রিম যতটা পারবেন কম খান। এতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। সুস্থ থাকতে চাইলে পরিমাণ বুঝে খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস যতটা পারবেন কম খান। মাংসের পরিবর্তে সেদ্ধ মুসুর ডাল, মাশরুম, মটরশুটি খেতে পারেন। এগুলো উচ্চ প্রোটিন যুক্ত। যা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। সসেজ, সালামির মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস যতটা পারবেন কম খান। অনেকেই বিকেলের টিফিনে এমন খাবার খেয়ে থাকেন। আর এই সকল খাবার স্বাস্থ্যহানীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভাজা ভুজি যতটা পারবেন কম খান। রোজ বিকেলে শিঙারা অথবা চপ খেয়ে চলেছেন। অথবা রোজ ভাতের পাকে আলু ভাজা কিংবা বেগুন ভাজা মাস্ট- এমন অবস্থা অনেকেরই। এবার এই অভ্যেস বদল করুন। ভাতের পারে হোক কিংবা অন্য সময় ভাজাভুজি যতটা পারবেন কম খান। এতে বৃদ্ধি পাবে শারীরিক জটিলতা।
কেক খাওয়ার অভ্যেস থাকে অনেকের। অনেক মায়েরা আবার বাচ্চাকে টিফিনে রোজ কেক দেন। এই অভ্যেস ত্যাগ করুন। অতিরিক্ত কেক খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এমন কিছু উপাদান দিয়ে কেক তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের নানা রকম ক্ষতি করে থাকে। তাই কেকের বদল একটি করে ফল খান।
ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে অনেকেই বাদাম খেয়ে থাকেন। কিন্তু, অতিরিক্ত বাদাম খাবেন না। বিশেষ করে ব্রাজিলীয় বাদাম। এত অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যার ফলে হজম ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর থেকে শরীরে দেখা দেয় একাধিক জটিলতা। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে অত্যাধিক বাদাম খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করুন। ডায়েটের সময় বাদাম খেতে গেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন কতটুকু খাওয়া দরকার।
অধিকাংশ বাঙালি মিষ্টি প্রিয়। কিন্তু, অত্যাধিক মিষ্টি খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। সঙ্গে বাড়তে পারে ওজন। যতটা পারবেন কম চিনি খান। তাই ভুলেও এই কাজ করবেন না। সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্যতালিকায় বদল আনুন। এমন খাবার খান যার গুণে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
ময়দা যতটা পারবেন কম খান। ময়দা দিয়ে তৈরি পরোটা কিংবা রুটি না খাওয়াই ভালো। আটার তৈরি খাবার খান। এতে সুস্থ থাকবেন। কিন্তু, ময়দা শরীরে নানা রকম ক্ষতি করে থাকে। সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা। এই ১০টি খাবার খান পরিমাণ বুঝে তা না হলে বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা।