ব্যায়াম করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? এই ১০টি ভুলে বাড়তে পারে সমস্যা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। বয়স ৩০ এর কোটায় পা দেওয়া মানেই ডায়াবেটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল থেকে হার্টের অসুখ- একে একে থাবা বসাতে থাকে শরীরে। এই সকল অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে থাকি সকলে। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে শুধু ওষুধ খেলে হবে না। এর সঙ্গে শরীরচর্চা প্রয়োজন। এমন কথা সকলেরই জানা। তাই সুস্থ থাকতে হোক কিংবা ওজন কমাতে অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন। তবে, জানেন কি ব্যায়াম করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নানা রকম ভুল করে থাকি। এবার থেকে ব্যায়াম করার সময় এই ১০টি জিনিস মাথায় রাখুন।
- FB
- TW
- Linkdin
ব্যায়াম করার সময় অনেকে নিশ্বাস বন্ধ করে থাকেন। হয়তো পুশ আপের মতো কঠিন এক্সারসাইজ করছেন। এমন সময় নিশ্বাস বন্ধ করছেন। আবার রিলিফের জন্য নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। জানেন কী এতে অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ। ব্যায়াম কিংবা যোগা যাই করুন না কেন নিঃশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
নিজের সুবিধা মতো সময় ব্যায়াম করছেন এক একদিন। কোন দিন সকালে ব্যায়াম করছেন তো কোন দিন বিকালে। আবার ইচ্ছা না হলে কোনও দিন ব্যায়াম বাদও দিচ্ছেন। এতে নিজের মারাত্মক ক্ষতি করছেন। তাই রোজ একটা সময় নির্দিষ্ট করুন। প্রতিদিন সেই সময় ব্যায়াম করুন। আবার নিজের ইচ্ছা মতো তা বন্ধ করা যায় না।
ব্যায়ামের সময় নির্দিষ্ট রাখুন। কোন দিন সময় থাকল বলে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করলেন তো কোনও দিন ২০ মিনিট, এতে কোনও লাভ নেই। তাই রোজ নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করুন। শুরুতে বেশি সময় এক্সারসাইজ করবেন না। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বৃদ্ধি করুন। তবেই উপকার পাবেন।
যোগ ব্যায়ামের আগে খাবার খাওয়া নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। কোন খাবার খাওয়ার উচিত তা ঠিক করে উঠতে পারেন না। এক্ষেত্রে নিজের অজান্তেই ভুল করে ফেলেন। ব্যায়াম কারার ২ ঘন্টা আগে কিছু খাবেন না। এতে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। আর ভরা পেটে ভুলেও ব্যায়াম নয়।
ব্যায়াম করতে গিয়ে চোট পেতেই পারেন। কিংবা অন্য কোনও কারণে শরীরে চোট লাগতে পারে। কিন্তু, চোট পেয়ে ব্যায়াম করবেন না। এতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যোগাসন হোক কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ কিংবা হাঁটতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলুন।
মোবাইল সারাক্ষণ আপনার সঙ্গী। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে যত কাজই করুন না কেন মোবাইল সব সময় আপনার হাতে থাকে। ব্যায়াম করার সময়ও মোবাইল সঙ্গে রাখেন। ফোনে মেসেজ ঢুকলে ব্যায়ামের মাঝে তা চেক করেন। এমন অভ্যাস ত্যাগ করুন। যতটুকু সময় ব্যায়াম করবেন, ততটুকু সময় অন্য কোনও দিকে মন দেবেন না।
ভুল পোশাক পরে ব্যায়াম করবেন না। ব্যায়ামের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক আছে। যা সর্বত্র কিনতে পাওয়া যায়। সেই পোশাক কিনুন। ভুলেও বড় মাপের পোশাক পরে এক্সারসাইজ করবেন না। এই সময় সঠিক পোশাক পার খুব প্রয়োজন। তা না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারেন।
কথা বলবেন না ব্যায়াম করার সময়। হয়তো এক্সারসাইজ করতে রোজ জিমে যান। আর সেখানে ব্যায়ামের ফাঁকে চলে গল্প ও আড্ডা। এমন অভ্যেস বদল করুন। এতে আপনারই ক্ষতি হচ্ছে। তাই ব্যায়ামের সময় ভুলেও কথা বলবেন না। আগে এক্সারসাইজ করে নিন। তারপর যত গল্প করবেন।
আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম কোনটা তা জেনে নিয়ে তবেই এক্সারসাইজ করবেন। কেউ সুস্থ থাকতে ব্যায়ম করেন তো কেউ ওজন কমাতে। তাই আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যয়াম কোনটা তা জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। তা না হলে আপনার উদ্দেশ্য সফল হওয়া মুশকিল।
ব্যায়াম করার আগে ট্রেনারের পরামর্শ নিন। ব্যায়ামের ভঙ্গি অনেকে ভুল করে থাকেন। তাই আগে থেকে জেনে নিন। প্রথম কটা মাস ট্রেনারের সাহায্য নেওয়া ভালো। তারপর না হয় নিজে বাড়িতে ব্যায়াম করলেন।