- Home
- Lifestyle
- Health
- গর্ভবতী মহিলা বা স্তন্যদানকারী মায়েরা কি করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে, জেনে নিন এমন আরও প্রশ্নের উত্তর
গর্ভবতী মহিলা বা স্তন্যদানকারী মায়েরা কি করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে, জেনে নিন এমন আরও প্রশ্নের উত্তর
২০২০ বছরটা সারা বিশ্বের কাছে এক উল্লেখযোগ্য সাল হিসেবে মনে থাকবে করোনার কারণে। এই মহামারীর প্রকোপে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই আমাদের কাছের মানুষদের হারিয়েছি। এই ভাইরাসের থেকে নিস্তার পেতে সমস্ত দেশ নিজেদের মত করে চেষ্টা চালাচ্ছে ভ্যাকসিন উৎপাদনের। যাতে আবার আমরা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারি। তাই এই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু প্রশ্ন অনবরত গুগলে সার্চ করা হচ্ছে। যার মধ্যে বেশিরভাগের উত্তর আমাদের অনেকেরই জানা নেই। দেখে গুগলে সার্চ হওয়া করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত প্রশগুলি, যার ফলে হয়তো আপনার অজানা প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যাবেন।
| Published : Dec 16 2020, 05:45 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আপনার কি করোনা থাকলেও এটি নেওয়া দরকার? কত দিন পরে নিরাময় হচ্ছে?
উঃ করোনা থাকলেও এই ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার। তবে সেটি অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হবে। আপনার যদি অ্যান্টিবডির বিকাশ না হয় তবে আপনার আগে এটি নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
কোভিডের চিকিত্সা হিসাবে যিনি প্লাজমা থেরাপি পেয়েছেন এমন কোনও ব্যক্তির কি এই ডোজ প্রয়োজন?
উঃ যে সমস্ত ব্যক্তির ইতিমধ্যেই শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে তাঁদের প্রথম দিকেই এই ডোজের প্রয়োজন কম। এর থেকে যাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেই সমস্ত ব্যক্তিদের এই ভ্যকসিন দেওয়া প্রয়োজন।
গর্ভবতী মহিলা বা স্তন্যদানকারী মায়েরা কি ভ্যাকসিন নিতে পারেন?
উঃ কোনও সংস্থা এখনও গর্ভাবস্থায় এই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল করেনি। এমনকী সিডিসি গর্ভবতী ও স্তন্য়দানকারী মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছে। ইউকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার দু মাসের মধ্যে গর্ভবতী না হওয়াই ভাল। যেহেতু এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনগুলি গর্ভবতী মহিলা বা স্তন্যদানকারী মায়েরা জন্য উপযুক্ত কি না তার কোনও প্রমাণ নেই তাই না দেওয়াই ভাল।
ডায়াবেটিক রোগী কি এই ভ্যাকসিন নিতে পারেন?
উঃ হ্যাঁ, আসলে ডায়াবেটিস গুরুতর রোগের ঝুঁকি হিসাবে প্রমাণিত। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা যাচাই করে তবেই দেওয়া হবে। সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে।
যদি কোনও ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব হয় তবে আমার কোনটি গ্রহণ করা উচিত?
উঃ উপলদ্ধ সমস্ত ভ্যাকসিনগুলির সমান কার্যকারিতা। যদিও স্থানীয় প্রতিক্রিয়া আলাদা হতে পারে। তবে যা পাওয়া যায় সেই ভ্যাকসিনই নিয়ে নিন। সব সময় পজেটিভ চিন্তা করুন। ভারতে উত্পাদিত ভ্যাকসিনগুলি আমাদের জনসংখ্যার জন্যও উপযুক্ত হবে কারণ সেগুলি সস্তা এবং এটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা যেতে পারে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার কত দিন পর থেকে এর সুরক্ষা পাওয়া যাবে?
উঃ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১০ দিন পর থেকে শুরু হয় এর সুরক্ষার কাজ। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রায় ৭০-৯০ শতাংশ।
ভ্যাকসিনটি কত সময় পর্যন্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা দিতে সক্ষম?
উঃ এটি একটি নতুন ভাইরাস, সেই সঙ্গে এটি নতুন প্রযুক্তির ভ্যাকসিন, তাই আমাদের এই সম্পর্কে সঠিক ভাবে জ্ঞান থাকা সম্ভব নয়। টিকা দানের ফলোআপের পরেই আমরা এই বিষয়গুলি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। বুস্টারগুলির প্রয়োজন এবং কখন তাদের প্রয়োজন হবে এই ফলোআপগুলি এবং গাণিতিক মডেলিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোন বয়সের শিশুদের এই টিকা দেওয়া যেতে পারে? সেক্ষেত্রে ডোজের পরিমান কি হবে?
উঃ এখনও অবধি পরীক্ষাগুলি কেবল ১৮ বছরের উপরে প্রাপ্তবয়স্কদের উপর হয়েছে। তবে বর্তমানে বাচ্চাদের জন্য এখন ট্রায়াল তাও ১২ বছরের উপরে শুরু করা হয়েছে। পরীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পরে ডোজগুলি স্থির করা হবে ছোট বাচ্চা এবং শিশুদের জন্য।