শীতে খুশকির সমস্যায় জেরবার, এই ঘরোয়া টিপসে একেবারে ধুয়ে ফেলুন খুশকি
- FB
- TW
- Linkdin
পুরনো তেঁতুল জলেতে গুলে চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।
নিম পাতার রসের আছে অ্যান্টিফাংগাস ও অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা। এক মুঠো নিম পাতা ৪ কাপ জলেতে দিয়ে সিদ্ধ করুন। জল ঠাণ্ডা করুন। এটা চুলের গোড়ায় সপ্তাহে ২-৩ দিন লাগান।
নারিকেল তেলের মধ্যে আছে অ্যান্টিফাংগাল উপাদান। চুল অনুযায়ী নারিকেল তেল নিয়ে এতে অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস মেশান। তারপর চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘষুন। ২০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।
হোয়াইট ভিনিগার, এটা ঘরে বসে খুশকি দূর করার অন্যতম কার্যকর উপায়। ভিনিগারে এসিটিক এসিড থাকে যা ফাংগাস জন্মাতে বাধা দেয় এবং চুলকানি দূর করে। ভিনিগারের সঙ্গে জল মিশিয়ে নিয়ে চুলে শ্যাম্পু করার পর মাথায় লাগান।
টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমী।
মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার মেথি লাগান।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা ছাড়াও চিরুনি ও ব্রাশ সবসময় আলাদা ও পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলে অনেক বেশি রাসায়নিক রং, ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার ব্যবহার না করাই ভালো।