জীবনযাত্রায় এই ১০টি পরিবর্তন আনুন, সুস্থ থাকার সঙ্গে বয়স থাকবে নিয়ন্ত্রণে
আধুনিকতার দৌড়ে বদলেছে জীবনযাত্রা (Lifestyle)। সকলেই এখন দৌড়ে চলেছেন। কীভাবে যে সারাটা দিন কেটে যায়, অনেক সময় ঠাওর করা যায় না। কাজের চাপে নিজের জন্য সময় নেই কারও। তার সঙ্গে সকলেরই বদলছে খাদ্যাভ্যাস। এখন সকলেই প্রসেসড ফুড, রেস্তোরাঁর (Resturent) খাবারে বেশি অভ্যস্ত। এর থেকে শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, কোলেস্টেরল আজ ঘরে ঘরে। সঙ্গে উপরি পাওনা স্ট্রেস। এই সব কারণ বয়সের আগেই বুড়ি হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এবার জীবনযাত্রায় এই কয়টি পরিবর্তন আনুন, সুস্থ থাকার সঙ্গে বয়স কমবে।
- FB
- TW
- Linkdin
রোজ সুস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ করুন। খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ সবজি। আয়রন, ভিটমিন, প্রোটিন, ক্যালমিয়ামের মতো জরুরি উপাদান থাকে সবজিতে। যা শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ করে। রোজ দুপুরে এক বাটি করে সবজ সেদ্ধ খান। ওজন কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, হজম ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী সবজি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। সবজি দিয়ে বানানো স্টু খেতে পারেন।
খাদ্যতালিকায় থাক একটি করো মরশুমি ফল। যে কোনও ফলে একাধিক পুষ্টিগুণ আছে। আপেল, কলা, কমলালেবু, স্ট্রবেরি আনারস, কাঁঠালের মতো যে কোনও ফল খেতে পারেন। এই সকল ফলে থাকা একাধিক উপাদান যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি দেয়। সঙ্গে ত্বকে উজ্জ্বলও আসে। চুল ও ত্বক ভালো রাখতে চাইলেও রোজ ফল খান। এমনকী, ওজন কমাতে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন একটি করে মরশুমি ফল।
খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন প্রসেসড ফুড। রেস্তোরাঁর খাবার, প্রসেসড ফুড যত এড়িয়ে চলবেন, তত সুস্থ থাকবেন। এই ধরনের খাবারে অধিক নুন ও চিনি থাকে। যার জন্য শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে। মুখরোচক হওয়ার দরুন প্রায়শই আমরা এই ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে সঠিক খাদ্যগ্রহণ করা আবশ্যক।
নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এক্সারসাইজ করা আবশ্যক। রোজ অন্তত ৩০ মিনিট বরাদ্দ করুন নিজের জন্য। বাড়িতে বসে যোগা করতে পারেন। অথবা অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন। এতে সুস্থ থাকতে নিয়মিত এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন। সারাদিন যতই ব্যস্ত থাকুন। নিজের জন্য সময় বের করুন। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
স্ট্রেস ফ্রি থাকুন। সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে মানসিক শান্তি বজায় রাখা আবশ্যক। নানা কারণে মানসিক চাপে ভোগেন অনেকে। অধিক কাজের চাপ, পড়ার চাপ-সহ নানা কারণে স্ট্রেসের সমস্যায় ভোগে অনেকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন। এতে কাজের গুণগত মান বাড়বে। তাই মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন।
রোজ ১০ হাজার স্টেপ হাঁটুন। সুস্থ থাকলে তবেই বয়সের ছাপ আসবে না। সুস্থ থাকতে হাঁটা খুবই প্রয়োজন। এতে যে কোনও রোগ মুক্ত থাকতে পারবেন। তাই নিয়মিত ১০ হাজার স্টেপ হাঁটুন। একটি স্মার্ট ওয়াচ কিনতে পারেন। এতে আপনার হাঁটার স্টেপ কাউন্ট করা সম্ভব। তবে, শরীরে অন্য কোনও রোগের জটিলতা থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভালো।
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ুক, তা কেউই চান না। এক্ষেত্রে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। অনেক সময় বাজার চলতি প্রোডাক্টের ব্যবহারের জন্য ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। বলিরেখা দূর করতে নির্দিষ্ট টোটকা মেনে চলুন।
ত্বকের যত্ন নিতে প্যাকের সঙ্গে অবশ্যই মাস্ক (Mask) ব্যবহার করুন। সপ্তাহে এক কিংবা দুদিন মাস্ক ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। ত্বকের সফটনেস (Softness) বজায় রাখতে, ক্লে, জেল মাস্ক, শিট মাস্ক ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল (Glowing Skin) হবে, সঙ্গে দূর হবে বলিরেখা (Wrinkle)।
নিয়ম মেনে খাবার খান। রোজ সকাল ৯টা থেকে ৯.৩০-এর মধ্যে ব্রেকফাস্ট খান। সকালে হেভি ব্রেকফাস্ট করা প্রয়োজন। এই সময় ওটস, ব্রাউন ব্রেড, বাদাম, দুধ, ডিম, কলা-র মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন। আর সঠিক সময় গ্রহণ করুন দুপুরের খাবার। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সময় মেনে খাবার খাওয়া খুবই দরকার। সারাদিন যতই ব্যস্ত থাকুন, এই নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক।
গবেষণা বলছে, সূর্যাস্তের পর শরীরে বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। এটি সহজে হজম (Digest) হয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধি ঘটে। সঙ্গে দেখা দেয় নানা রকম রোগ। রাতে খাবারের পর ঘুমের ১ থেকে ২ ঘন্টার ব্যবধান থাকা উচিত। এতে খাবার সহজে হজম হবে। সঙ্গে রাতে এড়িয়ে চলুন চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার।