করোনা আক্রান্ত হলে জিভে দেখা দিচ্ছে সংক্রমণ, জেনে নিন কোভিড টাং কখন দেখা দেয়
- FB
- TW
- Linkdin
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের পথে হলেও এখনও কমেনি করোনার প্রকোপ। নিত্যদিনই একাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। ফলে করোনা বিধি মেনে চলতে বাধ্য হচ্ছেন সকলে। করোনা একবার শরীরে বাসা বাঁধলে থাবা বসাচ্ছে তা বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে।
সম্প্রতি, এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে জিভের ওপর ফুসকুড়ি, ফোলাভাব দেখা দিচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। এক্ষেত্রে করোনা কালে জিহ্বা সাদা বা প্যাঁচানো বা ফোলা ভাব দেখা যায়। কিছু লোকের আবার জিভে আসলারও হয়।
২০২১ সালে একটি সমীক্ষায় এই লক্ষণের কথা সামনে আছে। জ্বর, কাশি, সর্দি, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় করোনা শরীরে বাসা বাঁধলে। ত্বকেরও নানা রকম পরিবর্তন ঘটে। ত্বকেও Rash দেখা দেয় অনেকে। আর এবার এই রোগের প্রভাবে জিভে দেখা দিচ্ছে লক্ষণ।
করোনা সংক্রামিতদের মধ্যে একটি উপসর্গ সকলের নজরে আসে। তা হল কোভিড টাং। জানা গিয়েছে, প্রতি পাঁচ জন আক্রান্তের মধ্যে এক জনের কোভিড টাং উপসর্গ দেখা যায়। তাই এমন সংক্রমণ দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শ নেবেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন।
কোভিড টাং, এটা এক প্রকার ঘা। করোনা আক্রান্তদের জিভে ঘা জাতীয় উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, জিভে ছোট ছোট ফুসকুড়ি তৈরি হচ্ছে। অথবা মুখের মধ্যে Rash এর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
মুখে এমন সংক্রমণ দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। অনেক সময় করোনা আক্রান্ত হলেও সকল উপসর্গ দেখা দেয় না। তাই জিভে এমন ফুসকুড়ি দেখা দিলে সতর্দ হন। আর করোনা মুক্ত হলে সবার আগে টুথ ব্রাশ পরিবর্তন করুন।
শুধু করোনা নয়, জ্বর, মুখের কোনও রকম সংক্রমণ এমনকী সর্দি কাশির সময় যে ব্রাশ ব্যবহার করেন, তা পরে বদলে ফেলা উচিত। এই সময় ব্যবহৃত ব্রাশে জীবাণু (Germs) থেকে যায়। যা পরে শরীরে সংক্রমণ করতে পারে। তাই ব্রাশ ফেলে দেওয়াই ভালো।
করোনা মুক্ত হওয়ার পরও নানা রকম সমস্যা থেকে যায়। এর মধ্যে সব থেকে বেশি দেখা যায় পেটের সমস্যা। করোনার পর পেটের (Stomach) সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। প্রায় অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন।
করোনা (Corona) থেকে সেরে ওঠার পর অনেক রকম শারীরিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, কানে শুনতে সমস্যা, দুর্বলতা, ক্লান্তি ভাব দেখা যাচ্ছে অনেকেরই। কারও কারও আবার দেখা দিচ্ছে দাঁতের সমস্যা। পোস্ট কোভিড (Post Covid) জটিলতায় অনেকের অধিক চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, SARs-COV-2 ভাইরাস আক্রান্ত হলে অনেকেরই চুল পড়ছে। চিকিৎসক বলছেন ২-৩ মাস পর্যন্ত হতে পারে এই সমস্যা। আসলে, চুল পড়ে পুষ্টির ঘাটতি, হরমোনের (Hormone) পরিবর্তন, মানসিক চাপ (Stress), পরিবেশগত এবং জেনেটিক কারণের জন্য। করোনা হলে শরীরে পুষ্টি অভাব দেখা দেওয়ার সঙ্গে হরমোনের পরিবর্তন হয়। ফলে দেখা দেয় এমন সমস্যা।