৫ জন মরণোত্তর, 'সেনা পদক' পাচ্ছেন মোট ১৫ জন - ছবিতে ছবিতে চিনে নিন এই বীর নায়কদের
শুক্রবার সেনা দিবসে মোট ১৫ জন ভারতীয় সেনা অফিসার ও জওয়ানকে সেনা পদক প্রদান করা হবে। এঁরা প্রত্যেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কৃতিত্বের নিদর্শন রেখেছেন। এই ১৫ জনের মধ্যে ৫ জন ওএই পুরস্কার পাবেন মরণোত্তর পুরস্কার হিসাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে, কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা বা ব্যতিক্রমী সাহসের স্বীকৃতি হিসাবে সেনা পদক দেওয়া হয়। চিনে নেওয়া যাক এই ১৫ জন বীর নায়ককে -
- FB
- TW
- Linkdin
মেজর কেতন শর্মা, ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (ইঞ্জিনিয়ার্স) - ২০১৯ সালের ১৬ জুন জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় শত্রুদের অবিরাম গুলি বর্ষণে গুরুতর আহত হয়েও এক সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করে এবং এক সহযোদ্ধার বাঁচিয়েছিলেন মেজর। পরে সেই গুলির আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
নায়েব সুবেদার সেওয়ান গিয়ালিশান, লাদাখ স্কাউটস রেজিমেন্টের পঞ্চম ব্যাটালিয়ন - সিয়াচেন হিমবাহের ক্যানসিং পোস্টে নিজের প্রাণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে, তুষারপাতে আটকা পড়া এক সৈনিকের জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি শহিদ হন।
সিপাহী রামবীর, ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (জাঠ রেজিমেন্ট) - ২০১৯ সালের ১ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের এক গ্রাম ঘিরে ফেলে অভিযানের সময় সিপাহী রামবীর নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে, ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে তাঁর এক আহত সহযোদ্ধার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সহযোদ্ধার জীবন বাঁচাতে পারলেও জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত রামবীর শহিদ হন।
নায়েক সন্দীপ সিং, ১০ প্যারা (বিশেষ বাহিনী) - ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারী, আরও এক গ্রাম ঘিরে জঙ্গিদের অনুসন্ধান অভিযানের সময় নায়েক সন্দীপ সিং কৌশলগত দক্ষতা দেখিয়ে দুই সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছিলেন। কিন্তু নিজেও গুরুতর আহত হন এবং পরে তিনি তাঁর মৃত্যু হয়।
গ্রেনেডিয়ার হরি ভাকর, ৪ ব্যাটালিয়ন গ্রেনেডিয়ার রেজিমেন্ট - ২০১৯-এর ২৩ মার্চ, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একটি ফরোয়ার্ড পোস্টে গ্রেনেডিয়ার হরি ভাকর শত্রুপক্ষের একটি ঘাঁটিতে নিখুঁত নির্ভুলতায় অ্যান্টি-ম্যাটারিল রাইফেল থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছিলেন। তবে গোলাগুলি চলাকালীন তিনি নিজেও মারা যান।
এই ৫ জন মরণোত্তর সেনা পদক প্রাপ্পতরা ছাড়া এই বছর এই পুরস্কার পাচ্ছেন আরও যাঁরা -
মেজর অর্চিত গোস্বামী, ৪ ব্যাটালিয়ন প্যারাশুট রেজিমেন্ট (স্পেশাল ফোর্সেস) - ২০১৯-এর ২০ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করায় সাফল্যের জন্য পুস্কৃত করা হবে।
মেজর গুটি বালাজি নিরঞ্জন, আর্মি এভিয়েশন কর্পস - ২০১৯-এর ২৫ এপ্রিল হলদানি-তে প্যারাট্রুপার অভিযানের সময় প্রায় ২০ মিনিটের জন্য একই জায়গায় হেলিকপ্টার ঘোরাফেরা করানোর অনন্য অবদানের জন্য সম্মানিত করা হবে।
মেজর শচীন আন্দোত্রা, ৩১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (সেনা সার্ভিস কর্পস) - ২০১৯-এর ২১ মে, উপত্যকায় দুজন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করার জন্য পুরষ্কৃত হচ্ছেন এই মেজর।
মেজর আমন সিং, ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (আর্মার্ড কর্পস) - ২০১৯-এর ১০ নভেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ঘনিষ্ঠ লড়াইয়ে এক সন্ত্রাসবাদীকে হত্যার জন্য পদক পাচ্ছেন।
মেজর ক্রুণাল ঠাকরে, ৪৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (শিখ রেজিমেন্ট) - ২০১৯-এর ২৩ অক্টোবর একজন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করার জন্য পুরস্কৃত হবেন।
ক্যাপ্টেন অভিষেক কতোচ, ৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (কর্পস অব ইলেকট্রনিক্স মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার্স) - ২০১৯-এর ১৬ অক্টোবর এক সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন।
সুবেদার কে লালডালিয়ানিয়া, ৪২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (অসম রেজিমেন্ট) - ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের সময় এক সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করার জন্য এই পদক দেওয়া হবে।
ল্যান্স হাভিলদার পওয়ার বিকাশ বসন্ত, ৪ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি - নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ৩ সন্ত্রাসবাদীকে হত্যার পুরষ্কার দেওয়া হবে তাঁকে।
নায়েক সুরেন্দ্র সিং রাউতেলা, ১৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (কুমাও রেজিমেন্ট) - ২০১৯-এর ২১ মার্চ একটি জনবহুল অঞ্চলে এক সন্ত্রাসবাদীকে খতম ও আরও একজন জঙ্গীকে আটক করার পুরষ্কার পাবেন।
সিপাহী রাজপাল, ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (আর্টিলারির রেজিমেন্ট) - ২০১৯-এর ১৭ জুন শত্রুদের অবিরাম গুলি বর্ষণ সত্ত্বেও বিপজ্জনকভাবে এগিয়ে গিয়ে তাঁর এক সহযোদ্ধার জীবন বাঁচানোর জন্য এই সম্মানে ভূষিত করা হবে তাঁকে।