- Home
- India News
- Presidential Election 2022: দ্রৌপদী-যশবন্ত ছাড়া আরও ৫৪ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা, চিনুন তাঁদের
Presidential Election 2022: দ্রৌপদী-যশবন্ত ছাড়া আরও ৫৪ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা, চিনুন তাঁদের
- FB
- TW
- Linkdin
বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দ্রৌপদীকেই দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে চিহ্নিত করে দিয়েছেন। এর কারণ আর কিছুই নয়, এনডিএ-এর কাছে থাকা ভোটব্যাঙ্ক। তাতে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। একমাত্র এনডিএ-র মধ্যে বড় ধরনের কোনও সাবোতাজ না হলে দ্রৌপদীর হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। দ্রৌপদী মূর্মূ ২০০২ সালে ওড়িশায় বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি দ্রৌপদী একজন সজ্জন এবং সমাজসেবী ও মানবদরদী ভূমিকার জন্য বহুল পরিচিত। তাঁর অতি সাধারণ জীবনযাত্রা এবং সমাজের নিচুতলার মানুষের মধ্যে নিজের কর্মযোগকে বিলিয়ে দেওয়া এখন প্রশংসিত হচ্ছে সবমহলে। স্বামী-পুত্রদের হারিয়ে দ্রৌপদী এখন শুধুই বেছে নিয়েছেন দেশবাসীর সেবাকে। এহেন এক ব্যক্তিত্বের দিকে ইতিমধ্যে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন অনেকে।
লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলা এই ব্যক্তি এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করেছেন। যদিও এতদিন পর্যন্ত অনেক নির্বাচনেই প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছেন। এর একটাতেও তিনি জয় পাননি। জানা গিয়েছে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে ২৩১ টি প্রার্থীপদ দাখিল করেছিলেন পদ্মরাজন। এর কোনওটাতেই তিনি জয় পাননি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যশবন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের মাধ্যমে এই বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে এনসিপি, কংগ্রেস, বামপন্থী দলগুলি, সমাজবাদী পার্টি-সহ ১৭টি রাজনৈতিক দল। তবে আপ এবং বিজেডি এই জোটে নেই। আপ এখনও রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নিয়ে কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আর বিজেডি আগেই বলেছিল যে দ্রৌপদী মূর্মূকে প্রার্থী করা হলে তাঁরা সমর্থন দেওয়ার কথা ভেবে দেখবে। বিজেডি-র যা অবস্থান তাতে স্পষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিভেদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে না বিজেডি। ওড়িশার আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিকে দেশের আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি হিসাবেই দেখছে তারা, আর সেই কারণে দ্রৌপদী মূর্মূ-র দিকেই নবীন পট্টনায়েকের দলের ভোট ঝুঁকে রয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত এবং মৃতের পরিবারকে সাহায্যের কাজ করে থাকেন সূরজ। তিনি মনে করেন তাঁর মতো মানুষদেরই দেশের রাষ্ট্রপতি পদে থাকাটা দরকার। আর সেই কারণেই তিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছে
সেনাবাহিনীতে কর্মরতদের সেবা এবং তাঁদের পরিবারের জন্য সমাজসেবামূলক কাজ করাকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছেন অশোককুমার ধিংরা। এর জন্য তিনি বহু ধরনের সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বিভাগেও যারা কাজ করেন তাঁদের জন্য বিভিন্ন সমাজেসেবামূলক উদ্যোগও নিয়ে থাকেন তিনি। তাঁর মতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর মতো লোক প্রার্থীপদের জন্য উপযুক্ত। দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর মতো লোকেরই নির্বাচিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন অশোককুমার ধিংলা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রয়েছেন রামকুমার শুক্লাও। মনোনয়ন দাখিলের সময় রামকুমার দাবি করেছেন, দেশের রাষ্ট্রপতি অতি সাধারণ জীবনযাপন করা উচিত এবং একজন সাধারণ নাগরিকের মতোই তাঁর সুবিধা পাওয়া উচিত। রাজাদের মতো সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রপতি পান এর বিরোধী রামকুমার শুক্লা। এমনকী তাঁর মতে, রাষ্ট্রপতি-কে আরও বেশি করে মানুষ এবং সমাজের হিতের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন যে রাষ্ট্রপতি হলে তিনটি নয় একটি মাত্র বাড়িতেই তিনি বসবাস করবেন।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক দয়াশঙ্কর আগরওয়াল। যে ৫৬ জন প্রার্থী পদ দাখিল করেছেন তাঁর মধ্যে দয়াশঙ্কর আগরওয়ালও রয়েছেন।
২৯ জুন শেষ হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা করার সুযোগ। ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১০৭ জন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। সেই তুলনায় এখনও পর্যন্ত তার অর্ধেক মনোনয়নও জমা পড়েনি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াই করতে গেলে প্রার্থীকে ভোটার কার্ডে নাম তোলাতে হবে। এর জন্য প্রার্থীর কাছে একটা সার্টিফায়েড কপি থাকতে হবে যেখানে তাঁর নাম যে ভোটরকার্ডে রয়েছে তার উল্লেখ থাকতে হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হলে ৫০ জন প্রস্তাবক এবং ৫০ জন সেকেন্ডস লাগবে। এছাড়াও ১৫ হাজার টাকা জমা রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে মনোনয়ন বাতিল হয় তাহলে ১৫ হাজার টাকা প্রার্থী ফেরত পাবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ হলে তাবেই এই অর্থ বাতিল প্রার্থীদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে দুই মূল প্রার্থীর উপরে নজর রয়েছে, সেই দ্রৌপদী মূর্মূ ২৪ জুন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিং ২৭ জুন মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন।
১৮ জুলাই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণা। ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রামনাথ কোবিন্দের।