করোনা মহামারি রুখতে কতটা কার্যকর কোভ্যাক্সিন, জেনে নিলেন ৭০ দেশের প্রতিনিধিরা
কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা জানত বিদেশের একদল প্রতিনিধি পরদর্শন করেন হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের দফতর। বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে ৭০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার জেনাম ভ্যালিতে যান বুধবার। করোনোরাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধান করেন তাঁরা। করোনা মহামারি মোকাবিলায় এই টিকা কার্যকরী হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন বিদেশী প্রতিনিধিরা।
- FB
- TW
- Linkdin
বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে হায়দারাবাদের জেনাম ভ্যালি পরিদর্শন করে ৭০ টি দেশের প্রতিনিধিরা। মূলত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের জন্যই এই সফরের আয়োজন করা হয়েছিল।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরি করছে এই সংস্থাটি। টিকা গবেষণা, উৎপাদন প্রক্রিয়া ও দক্ষতা নিয়ে একটি ভার্চুয়াল ও ফিজিক্যাল ট্যুরের আয়োজন করা হয়।
এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ৭০টি দেশের প্রতিনিধি এই সফরে সামিল ছিলেন।
এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ৭০টি দেশের প্রতিনিধি এই সফরে সামিল ছিলেন।
দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারত বায়োটেকের কাজের প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে কোভ্যাক্সিন। ভারত বায়োটেক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ ও ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির যৌথ উদ্যোগে এই করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে। এই টিকা ভারতের বাইরেও বিদেশের বেশ কয়েকটি দেশে সরবরাহ করা হবে বলেও জানান হয়েছে।
করোনা মহামারি রুখতে ২টি ডোসের কোভ্যাক্সিন টিকা প্রয়োজন বলে জানান হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। প্রথম দফায় ৩০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে সংস্থাটি সক্ষম বলেও জানান হয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় ১০০০ জনের ওপর কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দুটি ট্রায়ালে কোনও বিরূপ প্রতিক্রায়া দেখা যায়নি বলেও সংস্থার তরফে জানান হয়েছে।
প্রায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে করোনাভাইরাসের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এটি ভারতে প্রথম ও সর্ববৃহত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলেও দাবি করা হয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারত বায়োটেকের যুগ্ম ব্যবস্থাপক সুচিত্রা এলা। তিনি বলেন কোভ্যাক্সিনের বিকাশ ও ক্লিনিক্যাল মূল্যায়ন ভারতে ভ্যাকসিনোলজির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।