ফাইজারের পর এবার আসরে সেরাম, ভারতে করোনা-টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দাবি
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতে ট্রায়াল রান না হওয়া সত্ত্বেও ফাইজার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তাদের তৈরি টিকা জরুরি ভিক্তিকে ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দ্বারস্থ হয়েছিল বলে রবিবারই জানা গিয়েছিল। এবার সেই পথেই হাঁটল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
বিশ্বের সবথেকে বড় প্রতিষেধক তৈরির সংস্থা পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট এবার ভারতে তাদের তৈরি প্রতিষেধক কোভিশিল্ড জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই-এর কাছে।
সূত্রের খবর সেরাম ইনস্টিটিউট জনগণের বৃহত্তর প্রয়োজন ও মহামারি জনিত কারণের চিকিৎসার জন্য় তাদের তৈরি প্রতিষেধকটি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিকাশ করা প্রতিষেধক তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এই ভারতীয় সংস্থা।
সংস্থাটি দাবি করেছে তাদের তৈরি প্রতিষেধকটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। করোনামহামারি প্রতিহত করার জন্য এই প্রতিষেধকটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতে কোভিশিল্ডের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। ভারতে যেসব করোনা টিকার ট্রায়াল চলছে তারমধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছেন।
ব্রিটেন ও ব্রাজিলে করোনা-টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলির ফলাফল বিশ্লেষণ করে গত মাসেই অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফে জানান হয়েছে তাদের তৈরি টিকা ৭০ শতাংশ কার্যকর। যদিও ফাইজারের টিকা ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক সেরামের তৈরি করোনাটিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। কিন্তু সেরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ব্যক্তির অসুস্থতার জন্য করোনা টিকা দায়ি নয়।
আইসিএমআর জানিয়েছে, ডিসিজিআর থেকে অনুমোদন নিয়ে সেরাম ৪০ মিলিয়ন করোনা টিকা তৈরি করছে। যা ঝুঁকিপূর্ণ উৎপাদন বা স্কটপাইলিং লাইসেন্সের আওতায় পড়ে।
অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সংরক্ষণের জন্য দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। তাই ভারতে একটি সরবরাহ করা খুব সহজ হবে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
অনেক আগেই সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছিলেন তাঁরা আগামী বছরের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডোস সরবরাহ করতে পারবেন।